সিলেট: সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজ ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টাকারী ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন সিলেটের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৩ অক্টোবর) সন্ত্রাসী বদরুলের চাপাতির কোপে মারাত্মক হন কলেজ ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস।
এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সকালে টিলাগড় এমসি কলেজের সামনের সড়কে ও সিলেট সরকারি মহিলা কলেজে মানববন্ধন অংশ নেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে যোগ দেয় ছাত্রলীগও।
মানববন্ধন থেকে শিক্ষার্থীরা নার্গিসের ওপর নৃশংস হামলাকারী বদরুল আলমের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। মানববন্ধন চলাকালে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিলো।
উল্লেখ্য, সোমবার (৩ অক্টোবর) এমসি কলেজ কেন্দ্রে ডিগ্রী ২য় বর্ষের পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর বদরুলের চাপাতির কোপে আহত হয় নার্গিস।
পুলিশ জানায়, প্রেম প্রত্যাখ্যাত হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বদরুল আলম এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খাদিজাকে আহত করে। পরে শিক্ষার্থীরা ধরে তাকে গণপিটুনি দেয়। শিক্ষার্থীদের কবল থেকে পুলিশ বদরুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
অন্যদিকে, নার্গিসের অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তাকে সিলেট থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। বর্তমানে তাকে ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র আরও জানায়, সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের হাউসা গ্রামের মাসুক মিয়ার মেয়ে খাদিজা আক্তার নার্গিস। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম এক সময় আহত ছাত্রীর বাড়িতে লজিং থাকত।
সিলেট মহানগরীর শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল মুন্সি বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্রী আহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে বখাটে বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছে। আমরাও চাই এ ধরনের নৃশংসতার সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। ছাত্রীর ওপর হামলার ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। হামলাকারী বদরুলকে ওসমানী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। সুস্থ হওয়ার পর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান ওসি শাহজালাল মুন্সি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৬
এনইউ/জিপি/আরআই