ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর পরীক্ষিত নেতারা ছেড়ে গেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসিকতার সঙ্গে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
এ সময় বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান তিনি।
বুধবার (০৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এ দেশ স্বাধীন হতো না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে সঙ্গে তার শিশুপুত্র শেখ রাসেলকেও ছাড়েনি হত্যাকারীরা। ওই সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানা দেশে ছিলেন না।
বঙ্গবন্ধু একটি স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখেছিলো জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে প্রত্যাবর্তন করার পর আমরা তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করি। তখন থেকে তিনি সাহসিকতার সঙ্গে দলকে শক্তিশালী করেছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মেয়ে হিসেবে শেখ হাসিনা কতোটুকু নেতৃত্ব দিতে পারবেন, তা ভেবে অনেক পরীক্ষিত নেতা- জ্ঞানী-গুণীরাও তাকে ছেড়ে গেছেন। কিন্তু তিনি সাহসিকতার সঙ্গে তার দল পরিচালনা করেন এবং ২১ বছরের মাথায় ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগ এখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে এক সময় খাদ্য সংকট থাকলেও এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি রফতানি করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত করবেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সেই উন্নত দেশের কারিগর মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা। সে দিন শেখ হাসিনা থাকবে না, আমরাও থাকবো না। উন্নত দেশের জন্য মেধার প্রয়োজন আছে। মেধাশূন্য জাতি কোনো দিনও উন্নতি লাভ করতে পারে না। উপযুক্ত জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে মেধা দিয়ে নিজেদের এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি দেশকেও নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান মোশাররফ হোসেন।
‘মেধা ও জ্ঞানে গড়বো সোনার বাংলা’- স্লোগান নিয়ে চট্টগ্রামের সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ফাউন্ডেশন পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত করে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানের প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ৩৭২ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার ও বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক হেলাল নিজামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আমিনুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারম্যান সীমান্ত তালুকদার ও মহাসিচব সাজ্জাদ হোসেন।
সবশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৬
এমআইএইচ/ওএইচ/আরআই