ঢাকা: যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ভারত, চীন, কানাডা, ইতালিসহ অন্তত ১২টি দেশের ৫৫ জন বিদেশি অতিথি আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সম্মেলনের ভেন্যু রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অভ্যর্থনা উপ-কমিটির সদস্য সচিব দীপু মনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
বিদেশি অতিথিদের মধ্যে ১১টি দেশের ৫৪ জন অতিথির নামের তালিকা বাংলানিউজের হাতে এসেছে। আওয়ামী লীগের সূত্র জানায়, এসব অতিথি সম্মেলনে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে অতিথির সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি।
আগামী শনি ও রোববার (২২ ও ২৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিতব্য আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন যারা, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অতিথি ভারতের।
তাদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের বিজেপির ভাইস প্রেসিডেন্ট সংসদ সদস্য বিনয় প্রভাকর ও সংসদ সদস্য রূপা গাঙ্গুলী, জাতীয় কংগ্রেসের নেতা ও রাজ্যসভার বিরোধী দলীয় নেতা গোলাম নবী আজাদ, সংসদ সদস্য প্রদীপ ভট্টাচার্য, মাসুম নুর ও অভিজিৎ মুখার্জী, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য বিমান বসু, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি ও তার পিএস সুকান্ত আচার্য, সর্বভারতীয় ফরওয়ার্ড ব্লকের সাবেক সংসদ সদস্য দেবব্রত বিশ্বাস, ত্রিপুরা বিজেপির প্রেসিডেন্ট বিপ্লব কর দেব ও নিতি দেব, আসাম ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সর্বভারতীয় ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর তপাদার, আসাম গণপরিষদের নেতা আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল কুমার মহন্ত, জেজি মহন্ত ও সংসদ সদস্য ধ্রুবজোতি শর্মা, মনিপুর পিপলস্ পার্টির প্রেসিডেন্ট নংমেইকাপম শোভাকিরণ সিং, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কনথাউজম কৃষ্ণচন্দ্র সিং ও সাধারণ সম্পাদক (মনিপুর) মাচাং সইবাম, মেঘালয়ের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির সাংসদ মজিদ মেনন, মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের নেতা সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জরামথাংগা, ভাইস প্রেসিডেন্ট লথাংলিয়েনা, উপদেষ্টা রাকেশ শর্মা ও উপদেষ্টা রসাংজুয়ালা।
যুক্তরাজ্যের অতিথিরা হলেন- জেনি রাথবোন, সিটি অব কারডিফ কাউন্সিলের কাউন্সিলর দিলওয়ার আলী ও ল্যান্ডাফ নর্থ।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়ালেসের মেম্বার অব পার্লামেন্ট হুগ ম্যক ডারমট ও লেবার পার্টির মানিনদারজিৎ সিং।
ইতালির ডেমোক্রেটিক পার্টির ফরেইন অ্যাফেয়ার্স কমিটির কনসালট্যান্ট সংসদ সদস্য ইউগো পাপি ও সংসদ সদস্য খালিদ চাওকি।
ভুটানের তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী দিনা নাথ ডুনগেল ও ড্রাক ফুওয়েনসাম দলের সংসদ সদস্য দর্জি ওয়াংদি।
অস্ট্রিয়ার সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সংসদ সদস্য ফুকস্, অটোমোনাস ট্রেড ফেডারেশনের ও সিনেটর আর্নেস্ট গ্র্যাফ্ট।
ইউনাইটেড রাশিয়ার ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি সংসদ সদস্য সারেগেই ঝেলেজেডনিয়াক, উপদেষ্টা ভ্যালেরিয়া গোরোখোভা, রিপাবলিকান পার্টি অব রাশিয়ার আলেক্সন্ডার পোটাপোভ।
শ্রীলঙ্কার ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির নেতা ধর্মমন্ত্রী এএইচ মোহাম্মদ হাশেম, রহমাতুল মালিক পাটিমগম, আইটিএকে’র নেতা সংসদ সদস্য শান্তি শ্রীকানদারসা ও শ্রীলঙ্কান ফ্রিডম পার্টির নেতা সংসদ সদস্য জগৎ পুস্পকুমার।
নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ও নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি, রাধিকাম্স সাক্য, সংসদ সদস্য রাজন ভট্টাচার্য, রাজেশ ভট্টাচার্য, নেপাল কংগ্রেস নেতা রাম শর্মা মহাত।
কানাডার কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও সংসদ সদস্য দিপক ওভরাই।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের ভাইস মিনিস্টার ঝেং জিয়াসং, ডিরেক্টর জেনারেল ইয়ান ঝিবিন, ডেপুটি ডিরেক্টর জিয়া পেং, কাও ঝিগাং এবং গাও মিন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৬
এমইউএম/এএসআর