ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সম্মেলনকে ঘিরে বরিশালে উৎসবের আমেজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৬
সম্মেলনকে ঘিরে বরিশালে উৎসবের আমেজ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বরিশাল: আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বরিশালে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের তোরণ, ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে গোটা নগরী।

নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে স্থাপনাকে ঘিরেই এসব ব্যানার, ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় ও কার্যালয় সংলগ্ন বিবির পুকুরকে বিভিন্ন রংয়ের বাতির নানা রঙের আয়োয় সাজিয়ে তোলা হয়েছে।

তোরণগুলো সিনিয়র নেতাদের দখলে থাকলেও ব্যানার, ফেস্টুনে বেশি জায়গা দখল করে রেখেছেন- মহানগর ছাত্রলীগ পদপ্রাপ্তির আশায় থাকা নেতাকর্মীরা।

পাশাপাশি চলছে ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে প্রচার-প্রচারণা।

সদ্য ঘোষিত বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলকে ঘিরে বরিশালে নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেকটাই চাঙ্গাভাব ফিরে এসেছে।

মহানগর আওয়ামী লীগের সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল ও অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বেই শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাতে লঞ্চ ও বাসে রাজধানীর উদ্দেশে ৩ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী রওয়ানা দেবেন।

তৃনমূলের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেন হিরনের মৃত্যুর পর ২ সদস্যের কমিটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন একমাত্র পদধারী সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম। কিন্তু তার নেতৃত্ব নিয়ে নানান প্রশ্ন তুলে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়।

এদের মধ্যে অনেকে চলে যান সেরনিয়াবাদ সাদিক আব্দুল্লাহ’র দিকে। আর সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা জোট বাধেন বরিশাল সদর আসনের সংসদ সসদস্য জেবুন্নেছা আফরোজের সঙ্গে। যার প্রতিফলন ঘটে মহানগর ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের মধ্যেও।

নেতাকর্মীরা আরো জানায়, এসব ঘটনার জের ধরে কেন্দ্রীয় প্রতিটি কর্মসূচিই দীর্ঘদিন ধরে পৃথকভাবে পালন করে আসছে মহানগর আওয়ামী লীগের এ দু’টি পক্ষ। যা কেন্দ্রীয় কাউন্সিলকে ঘিরেও দেখা গেছে। পৃথক কর্মসূচির কারণে বরিশালে একটু আগেভাগেই কাউন্সিলকে ঘিরে প্রচার-প্রচারণা, সভা-সমাবেশ শুরু হয়।

তবে, হঠাৎ করেই কাউন্সিলের আগে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা হওয়ায় এ বিভক্তির অবসান ঘটে। এরই মধ্যে নতুন সভাপতি-সম্পাদকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কাউন্সিলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন।

তবে, কমিটির কারণে হাতে গোনা কয়েকজন অভিমানী নেতা কাউন্সিলে নিজস্ব উপায়ে যেতে পারেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, বিভক্তির একটি গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন- বরিশাল সদর আসনের সাংসদ জেবুন্নেছা আফরোজ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম। অপরটির নেতৃত্বে রয়েছেন- বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র ছেলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা সেরনিয়াবাদ সাদিক আব্দুল্লাহ। তার পক্ষের সমন্নয়কারী হিসেবে কাজ করছেন গাজী নইমুল হাসান লিটু।

বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী নইমুল হোসেন লিটু মহানগরের ৩০টি ওয়ার্ডের পক্ষে বাংলানিউজকে জানান, তারা ৩ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী জোটবদ্ধ হয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানারে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে অংশগ্রহণ করবেন। কাউন্সিল নিয়ে প্রচার-প্রচারণার লক্ষ্যে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ব্যানার, ফেস্টুন লাগানো হয়েছে, প্রধান সড়কে তোরণ বসানো হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে তারা বেশ কয়েকটি সভাও করেছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৬
এমএস/আরবি/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।