ঢাকা: বিএনপি নেতাকর্মীদের গুম-খুন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন অব্যাহত থাকায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে বিএনপি যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকা আরও একটি কারণ।
দুই মাস কারাভোগ শেষে মুক্তি পেয়ে রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে বিএনপি না যাওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক। গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকলে যাওয়া যেতো। যেখানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আক্রমণ করে বক্তব্য দেওয়া হয়, বিএনপির কাউন্সিলে আওয়ামী লীগ আসেনি। তারা সম্মেলনে যাওয়ার মতো কোনো পরিবেশ তৈরি করেনি।
তিনি বলেন, সরকার যে ভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের গুম-খুন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করছে এরকম পরিবেশে মেরুদণ্ড নিয়ে তাদের কাউন্সিলে উপস্থিত হওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, সরকার দেশে সর্বক্ষেত্রে লেলিহান চালাচ্ছে। তারা জনগণের প্রতিনিধি নয় নিজেদেরকে জমিদার মনে করে। তারা গোটা রাজধানীকে দখল করে অবৈধ ভাবে কাউন্সিল করছে। সরকার দস্যুবৃত্তির মাধ্যমে সমস্ত কাজ করছে। এরই প্রতিফলন দেখছি আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে। তারা লাল,নীল ও ঝাড় বাতি লাগিয়ে ঢাকাকে একাকার করে ফেলছে। এভাবে রাজনৈতিক কাউন্সিল হতে পারে না। এটাকে বর্ণাঢ্য বলা যাবে না এটা বেহায়াপান।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপির কাউন্সিলে সরকার বিভিন্ন ভাবে বাধা দিয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় নেতাকর্মীদের আসতে বাধা দিয়েছে। কাউন্সিলের অনুমতি দিয়েছে দুই/তিনদিন আগে। যেন সকলের মনে একটা সন্দেহ জাগে বিএনপি কাউন্সিল করতে পারবে কিনা। আমাদের ব্যানার পোস্টার লাগাতে দেয়নি।
এ সময়ে মাহমুদুর রহমান, মাহমুদুর রহমান মান্না, মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান, হাবিব উন নবী খান সোহেলের নামে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন রিজভী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৬
এমএম/বিএস