সাভার (ঢাকা): সাভার সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন সোমবার (৩১ অক্টোবর)।
নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি ও আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা সম্পন্ন হয়েছে।
২৯ হাজার ১৫ জন ভোটার ১৫টি ভোটকেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
তবে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যাপক প্রচারণা দেখা গেলেও মাঠে নেই বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা। কোথাও বিএনপি প্রার্থীর কোনো ব্যানার-ফেস্টুনও নেই।
বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমার ব্যানার-ফেস্টুন ছিড়ে ফেলছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নামা তো দূরের কথা, ঘর থেকেই বের হতে দেন না’। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন মামলা ও পুলিশ দিয়ে হয়রানির অভিযোগও করেন বিএনপির এই প্রার্থী।
সরকার দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহেল রানা বাংলানিউজকে বলেন, ‘জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। নির্বাচনে জয়ী হলে এলাকার রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন,মাদক নির্মূলে কাজ করা হবে’। প্রতিপক্ষের কাউকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না বা নির্বাচনের পর কোনো ধরনের হামলা-মামলা করা হবে না বলেও জানান এই প্রার্থী।
সাভার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মমিন মিয়া বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রেহণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জালভোট ঠেকাতে প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে একজন করে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সরঞ্জামও পাঠানো হয়েছে।
স্থগিত হওয়া আশুলিয়া ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের নির্বাচনও সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।
সাভার মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহবুবুর রহমান বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৬
এএসআর