রাজশাহী: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের স্থগিত হওয়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
তবে বেলা ১২টা পর্যন্ত দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কোথাও বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হবে।
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে জানান, পুলিশ ও আনসার ভিডিপির সদস্যরা ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। কোথাও কোনো গোলোযোগ হলে তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি জানান, উপজেলার দুই লাখ ৪২ হাজার ৫২৪ জন ভোটার মোট ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। এর মধ্যে এক লাখ ২০ হাজার ৪৩১ জন পুরুষ ভোটার ও এক লাখ ২২ হাজার ৯৩ জন নারী ভোটার।
নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা আরো জানান, বাগমারার ১৬টি ইউনিয়নে এবার চেয়ারম্যান পদে ৬৪ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৪৩৯ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৩৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ দফায় গত ৭মে বাগমারা উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে নির্বাচনের কথা ছিল। তবে সহিংসতার আশঙ্কায় দুদিন আগে অর্থাৎ ৫ মে ভোট স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
এর পরও ভোটের নির্ধারিত দিনেই আউচপাড়া ইউনিয়নের হাটগাঙ্গপাড়ায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হন। পরে গত ২৫ সেপ্টেম্বর নতুন তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোয়াজ্জেম হোসেন ভুঁইয়া বলেন, বাগমারা উপজেলার মোট ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১১৫টি ঝুকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এসব ভোটকেন্দ্রে অতিরিক্ত একজন করে এসআই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোথাও বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, সোমবার বাগমারায় সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনী মাঠে চার হাজার ৬০০ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কাজ করছেন। এর মধ্যে পুলিশ রয়েছে এক হাজার ৩৭৬ জন। বাকীরা বিজিবি, র্যাব ও আনসার-ভিডিপি সদস্য।
এছাড়াও প্রতিটি ইউনিয়নে দুটি করে মোট ৩২টি স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করছে। প্রতিটি টিমে একজন করে ম্যাজিস্টেট নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে জানান এসপি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৬
এসএস/বিএস