ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারের হত্যায় খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানও জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, “১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে খুনি মোশতাকের সঙ্গে জিয়াও যে জড়িত ছিল, তাতে কোনো সন্দেহ নাই।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জেল হত্যা দিবসের স্মরণ সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সভার সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, “আত্মস্বীকৃতি খুনিরা নিজের মুখে স্বীকার করেছিল। তারা বলেছিল জিয়ার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল এবং জিয়া তাদের ইশারা দিয়েছিল। ”
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, “খুনি মোশতাক বেইমানি করেছিল। সে ছিল আরেকজন মীর জাফর। মোশতাক ক্ষমতা দখল করে সেনাপ্রধান করলো জিয়াউর রহমানকে। ”
“স্বাধীনতাকে নসাৎ করাই ছিল ৩ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য। ” মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১৫ আগস্টের ঘটনা ছিলো মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের প্রতিশোধ গ্রহণ। ”
‘কোনো রকমেই যেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি উঠে দাঁড়াতে না পারে। ”
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এদেশ যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যেতে না পারে, আওয়ামী লীগ যেন কখনোই ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে লক্ষ্য নিয়েই ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড। ”
শেখ হাসিনা বলেন, “১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর ক্ষমতায় এসেছে কারা, যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের দালালি করেছিল। যারা আলবদর, রাজাকার বাহিনী গঠন করে পাক হানাদারদের সহায়তা করেছিল, তারা। ”
তিনি জিয়াউর রহমানকে ক্ষমতা দখলদার মন্তব্য করে বলেন, “বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার পর ২১ বছর এই বাংলাদেশ শোষিত হয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে। সমগ্র বাংলাদেশ ছিল একটা কারাগার। যখন থেকে জিয়া ক্ষমতায় এসেছে, দেশে প্রতি রাতে কারফিউ ছিল। কারফিউ গণতন্ত্র দিয়েছিল জিয়া। নির্বাচনকে কালো অধ্যায় করেছিল। হ্যাঁ, না ভোটে কোনো গণতন্ত্র রাখেনি। ”
“এরপর বিএনপি এলো, সে আমলে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। দেশের উন্নয়ন তো এ জন্যই হয়নি। ”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, যুগ্ম-সম্পাদক আবদুর রহমান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সিমিন হোসেন রিমি প্রমুখ।
সভা যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৬
এমইউএম/এইচএ/
** ‘তাদেরই দোসর ছিল জেনারেল এরশাদ’
** ‘ইংল্যান্ড দেখে গেলো টাইগারের হুংকার’
** স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি রুখতেই জাতীয় চার নেতা হত্যা