রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ): নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে তারা মিয়া (৩৫) নামে সৈনিক লীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৯ জন।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তারা মিয়া মঙ্গলখালী এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে। তিনি মুড়াপাড়া ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আহতদের মধ্যে নয়ন মিয়া, সুমন, হোসেন মিয়া, সুরুজ মিয়া, আকাশ, পাপ্পু, খোকন, আনোয়ার হোসেন, ফাতেমা, মাসুদা বেগম, পলি আক্তার, আফসানা আক্তার, রাহিমা বেগমের নাম জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তারা মিয়ার সঙ্গে আইবুর মিয়ার দ্বন্দ্ব ছিলো। এর জের ধরে দুপুর ২টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় ছয়-সাত রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে তারা মিয়া গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। এসময় উভয়পক্ষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
আহতদের মধ্যে তারা মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তার মৃত্যু হয়।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করার হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, তারা মিয়ার পরিবারের লোকজনের দাবি, দুপুরে তারা মিয়া স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী চুন্নু, রিপন, বিল্লাল ও মুন্সিসহ আরও ১০/১৫ জনের নামে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাসের কাছে অভিযোগ করেন। কিছুক্ষণ পরে উপজেলা কার্যালয় থেকে বের হলে ওই মাদক ব্যবসায়ীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে চান্নুর মাথায় আঘাত ও পায়ে গুলি করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ঢামেক পুলিশ বক্সের উপ পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, তারা মিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৬ আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা
এনটি/আরএ