ঢাকা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলার ঘটনায় এমপি-মন্ত্রীদের বাঁচাতে পুলিশ সাজানো প্রতিবেদন দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সোমবার (১৫ নভেম্বর) পুলিশ একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। সেখানে ১৮ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর সঙ্গে নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জামাল উদ্দিন এবং ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি বিল্লাল হোসেনের নামও জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
অপকর্মের ভারসাম্য আনার জন্য গায়ের জোরে বিএনপি নেতাদের নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল শুধু হাস্যকরই নয়, বরং সরকারের অপকর্মকে ঢেকে দেয়ার অপচেষ্টা। পুলিশ মূলত স্থানীয় এমপি ও মন্ত্রীকে বাঁচাতেই এ সাজানো প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
বিপ্লব ও সংহতি দিবসে ঢাকায় সমাবেশ বানচাল করার প্রতিবাদে ঘোষিত সোমবার (১৪ নভেম্বর) দেশব্যাপী বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতেও সকরার বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন দলটির এ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি বলেন, বিক্ষোভ সমাবেশ নস্যাৎ করার জন্য সরকারের পেটোয়া বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে ব্যাপক হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
সরকারি বাহিনীগুলো বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে ব্যাপক বাধার সৃষ্টি করে। পুলিশ মিছিলের ওপর চড়াও হয়ে ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়াসহ বেধড়ক লাঠিপেটা করে। এতে অনেক নেতাকর্মী আহত হয়- অভিযোগ রিজভীর।
তিনি বলেন, শ্যামপুর থানা বিএনপির মিছিলে পুলিশ অতর্কিতে আক্রমণ চালিয়ে বিএনপি নেতা মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আহাম্মদ ও কুদ্দুস এবং কদমতলী থানা বিএনপির নেতা পাপন হোসেন, বেলাল, বরকত এবং শাহীনকে গ্রেফতার করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৬
এজেড/এসএইচ