ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

শেষ মুহুর্তে জমে ওঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
শেষ মুহুর্তে জমে ওঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচন/ ছবি: আরিফ জাহান

সকালটা কুয়াশায় মোড়ানো। তীব্র শীতের আবহ বিরাজ করছে দিনের বেশির ভাগ সময়। বিকেল থেকেই পড়তে শুরু করে কুয়াশা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো জনপদ। যেন কোনো কিছুই নজরে আসতে চায় না। তবু বসে নেই প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা।

বগুড়া: সকালটা কুয়াশায় মোড়ানো। তীব্র শীতের আবহ বিরাজ করছে দিনের বেশির ভাগ সময়।

বিকেল থেকেই পড়তে শুরু করে কুয়াশা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো জনপদ। যেন কোনো কিছুই নজরে আসতে চায় না। তবু বসে নেই প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা।

জয়-পরাজয়ের হিসাব-নিকাশ নিয়ে ব্যস্ত জনপ্রতিনিধিরা। শেষ মুহূর্তটাকে কাজে লাগাতে মরিয়া বগুড়া জেলা পরিষদে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীরা। অনেকটা দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশেও প্রার্থীরা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের গণসংযোগ।

কেননা মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) মধ্যরাত রাত থেকেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার সব কাজকর্ম। বুধবার (২৮ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মধ্য দিয়েই হবে ভাগ্য নির্ধারণের পালা। কে বা কারা পড়বে জয়ের মালা। আর এ জয়কে নিশ্চিত করতে প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা ছুটছেন ভোটারের দ্বারে দ্বারে।  
বগুড়া পৌরসভা ভবন ছেয়ে গেছে পোস্টারে

জেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে শহর থেকে শুরু করে গ্রামে গঞ্জে সৃষ্টি হয়েছে এক ভিন্ন পরিবেশ। বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ। প্রার্থীদের পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে নির্বাচনী এলাকা। স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন অনেক প্রার্থী।
 
পুরো নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি দল মনোনীনত ডা. মকবুল হোসেন, বিদ্রোহী প্রার্থী দলের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সোলায়মান আলী মাস্টার ও সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম আমিনুল ইসলাম পিন্টু। পাশাপাশি ৫১জন সাধারণ সদস্য পদে ও ১৪জন সংরক্ষিত পদের প্রার্থীরা চালিয়ে যাচ্ছেন বিরামহীন প্রচার-প্রচারণা।
 
সঙ্গে স্ব স্ব প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরাও বসে নেই। ছুটেছেন প্রতিটি ঘরে ঘরে। শেষবারের মতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রত্যেক ভোটারের কাছে যাওয়ার। যাকে যেখানে পাচ্ছেন সেখানেই হাত ধরে দিচ্ছেন নিজ প্রার্থীর লিফলেট। প্রার্থনা করছেন একটি করে ভোট। চষে বেড়াচ্ছেন শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত। কেউ একা আবার কেউবা দল বেধে ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। চাইছেন নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোট। ভোটাররাও তাদের হতাশ করছেন না। ভোট দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন।
প্রচারণায় ব্যস্ত কর্মী সমর্থকরা

পৌরসভাসহ ১২টি উপজেলা নিয়ে বগুড়া জেলা পরিষদের নির্বাচনী এলাকা গঠিত। সোমবার (১২ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকে চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীরা বিরতিহীনভাবে নির্বাচনী সভা সমাবেশ ও গণসংযোগের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে কে কী করবেন তা বলে ভোট প্রার্থনা করেছেন। দিয়ে চলেছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতিও।

সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুছ আলী বাংলানিউজকে জানান, এ জেলায় ১হাজার ৫শ’ ৮৯জন উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই জেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট প্রদান করতে পারবেন। মোট ১৫টি কেন্দ্রে ৩০টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে বলেও জানান এই নির্বাচন কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৬
এমবিএইচ/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।