কমিটির প্রধান হলেন রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা। তদন্ত কমিটির অন্য দুইজন হলেন- সহকারী অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম ও সহকারী অধ্যাপক রেজাউল ইসলাম।
রোববার (০১ জানুয়ারি) সকালে কমিটি গঠনের বিষয়টি বাংলানিউজকে জানান, রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক অনিমেষ রায়।
তিনি বলেন, খুব কাছ থেকে এমপি লিটনকে ৫-৬টি গুলি করা হয়েছে। তার শরীর থেকে একটি গুলি বের করা হয়েছে।
রোববার সকালে রমেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে আসেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
নানক জানান, ময়নাতদন্ত শেষে লিটনের মরদেহ ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। সোমবার (২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এ ঘটনায় গাইবান্ধা ও রংপুর থেকে এখন পর্যন্ত ১৯ জন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
রংপুরের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, বগুড়া, গাইবান্ধা ও রংপুর পুলিশের একটি টিম তদন্ত করছে। হত্যাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আততায়ীর গুলিতে মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের মৃত্যু হয়।
**এমপি লিটন হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটক ১০
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৬
আরআর/বিএস