নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ সংলাপে অংশ নেবে আওয়ামী লীগ।
বুধবার বিকেল চারটায় বঙ্গভবনের দরবার হলে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এ সংলাপে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের ১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নাম বঙ্গভবনে পাঠানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এ প্রতিনিধি দলে থাকছেন দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আবুল মাল আব্দুল মুহিত, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, এইচ টি ইমাম, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, এ্যাম্বাসাডর এম জমির উদ্দিন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মণি, জাহাঙ্গীর কবীর নানক, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক ও প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিতে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেন। প্রথমে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে ২২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে তাদের মতামত নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
এদিকে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে তেমন কোনো নতুন প্রস্তাব দেবে না আওয়ামী লীগ। সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করা হবে বলে আওয়ামী লীগ নেতারা জানান।
সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। বর্তমান নির্বাচন কমিশনও সংবিধান অনুযায়ী গঠন করা হয়।
রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি করে নতুন ইসি গঠন করেন। এবারও সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠনের প্রতিই সমর্থন জানাবে আওয়ামী লীগ।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, তার প্রতি আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা রয়েছে। রাষ্ট্রপতি সঠিক সিদ্ধান্তই নেবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৭
এসকে/আরআইএস/আরআই