একই দিন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহিলা দলের কমিটিও ঘোষণা করে বিএনপি।
মহিলা দলের এই তিন কমিটিতে পাঁচজন করে কর্মকর্তা রাখা হয়।
মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ‘সুপারফাইভ’ হন-যথাক্রমে আফরোজা আব্বাস (সভাপতি), নুরজাহান ইয়াসমিন (সিনিয়র সহ-সভাপতি), জেবা খান (সহ-সভাপতি), সুলতানা আহমেদ (সাধারণ সম্পাদক) এবং হেলেন জেরিন খান (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক)।
ঢাকা মহানগর উত্তরের ‘সুপারফাইভ’ হন- পেয়ারা মোস্তফা (সভাপতি), মেহেরুন নেছা (সিনিয়র সহ-সভাপতি), আমেনা বেগম (সাধারণ সম্পাদক), রোকেয়া বেগম তামান্না (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) এবং রাবেয়া আলম (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক)।
দক্ষিণের সুপারফাইভ হন- রাজিয়া আলিম (সভাপতি), আসমা আফরিন (সিনিয়র সহ-সভাপতি), শামসুন নাহার বেগম (সাধারণ সম্পাদক), সুরাইয়া বেগম (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) এবং রোকেয়া চৌধুরী বেবী (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক)।
কমিটি ঘোষণার পর বিএনপির চেয়ারপারসন থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের নেতারা মহিলা দলের এ তিন কমিটিকে ‘সুপারফাইভ’ বলে সম্বোধন করেন।
মহিলা দলের প্রতিনিধি সম্মেলনে দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির একাধিক নেতারা বক্তব্য দিতে গিয়ে এ কমিটিকে ‘সুপারফাইভ’ কমিটি হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
গত বছর ১৭ জানুয়ারি ঘোষণা করা হয় যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি। একই দিন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের কমিটিও ঘোষণা করে বিএনপি।
যুবদলের এই তিন কমিটিতেও সমান পাঁচজন করে কর্মকর্তা রাখা হয়। কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতৃত্বে আসেন যুবদলের বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিরব ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু।
যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ‘সুপারফাইভ’ হন-সাইফুল আলম নিরব (সভাপতি), মোরতাজুল করিম বাদরু (সিনিয়র সহ-সভাপতি), সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু (সাধারণ সম্পাদক), নুরুল ইসলাম নয়ন (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) এবং মামুন হাসান (সাংগঠনিক সম্পাদক)।
ঢাকা মহানগর উত্তরের ‘সুপারফাইভ’ হন- এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন (সভাপতি), মোস্তফা কামাল রিয়াদ (সিনিয়র সহ-সভাপতি), শফিকুল ইসলাম মিল্টন (সাধারণ সম্পাদক), শফিরউদ্দিন জুয়েল (যু্গ্ম সাধারণ সম্পাদক) এবং মোস্তফা জোগলুল পাশা পাপেল (সাংগঠনিক সম্পাদক)।
দক্ষিণের ‘সুপারফাইভ’ হন- রফিকুল ইসলাম মজনু (সভাপতি), শরিফ হোসেন (সিনিয়র সহ-সভাপতি), গোলাম মাওলা শাহীন (সাধারণ সম্পাদক), সাঈদ হাসান মিন্টু (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) এবং জামাল উদ্দিন খান শাহীন (সাংগঠনিক সম্পাদক)।
এর আগে গত বছর ২৭ অক্টোবর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। এখানে অবশ্য ‘সুপারফাইভ’ হয়নি; হয়েছে ‘সুপারসেভেন’।
স্বেচ্ছাসেবক দলের ‘সুপারসেভেন’ এ কমিটির নেতৃত্বে আসেন সংগঠনটির বিদায়ী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারি বাবু ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল।
সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের বাইরে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ‘সুপারফাইভ’ হন- মোস্তাফিজুর রহমান (সিনিয়র সহ-সভাপতি), গোলাম সরোয়ার (সহ-সভাপতি) সাইফুল ইসলাম ফিরোজ (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক), সাদরাজ্জামান (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক), ইয়াসিন আলী (সাংগঠনিক সম্পাদক)।
অর্থাৎ দলের গুরুত্বপূর্ণ তিন অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও মহিলা দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটি ‘সুপারফাইভ’ কমিটিতে রূপ দিয়ে চমক সৃষ্টি করেছে বিএনপি। ফলে কমিটি ঘোষণার পর এর নেপথ্য কারণ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয় দলের মধ্যে।
তবে বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, অঙ্গ-সংগঠনগুলোর পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার পেছনে বিশেষ কোনো কারণ নেই। মূলত, আংশিক এই কমিটির হাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের দায়িত্ব। এতে করে তরুণ নেতাদের সাংগঠনিক দক্ষতা অর্জন হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলানিউজকে বলেন, সংগঠন গোছানোর কাজ চলছে। এখানে ‘সুপারফাইভ’ ও ‘সুপারসেভেন’ বড় কোনো ইস্যু নয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
এজেড/এসআই