তিনি বলেন, ‘অনির্বাচিতদের দিয়ে নির্বাচন সহায়ক সরকারের প্রস্তাব কার্যত নির্বাচন বিলম্ব করা, ভণ্ডুল করা এবং অস্বাভাবিক সরকার প্রতিষ্ঠার একটা চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই না। ’
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
এক প্রশ্নের জবাবে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘নির্বাচন সহায়ক সরকারের রূপরেখা মুখের বুলি, চক্রান্তের বুলি। এটা আলোচনারই দাবি রাখে না। ’
খালেদা জিয়া ও বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে চলমান মামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কোনো অপরাধ, চুরির মামলা, হত্যা-খুনের মামলা, মানুষ পোড়ানোর মামলা থেকে কাউকে রেহাই দেওয়ার দরকষাকষিতে লিপ্ত হবো না। মামলা মামলার মতো চলবে। ’
খালেদা জিয়াকে ছাড়া বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে আসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নির্বাচনের আগে জামায়াত ছাড়বে কিনা, যুদ্ধাপরাধীদের ছাড়বে কিনা, জঙ্গি উস্কানি বন্ধ করবে কিনা এবং মামলায় ফেঁসে যাওয়া খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে নির্বাচনে আসবে কিনা?’
ইনু বলেন, ‘নির্বাচন বর্জনের হুমকি গণতন্ত্রকে জিম্মি করার হুমকি, বাংলাদেশের মানুষকে ব্ল্যাক মেইল করার হুমকি। আমরা কোনো অবস্থাতেই হুমকির কাছে বাংলাদেশের মানুষকে ব্ল্যাক মেইল করতে দেবো না। গণতন্ত্রকে জিম্মি করতে দেবো না। ’
তিনি বলেন, ‘কেউ সাজা পেলে নির্বাচনে আসবেন না, এই হুমকি দিলে এর দায় তার ওপর বর্তাবে। নির্বাচন যথা সময়ে হবে কে নির্বাচনে আসবে, কে আসবে না তার ভিত্তিতে গণতন্ত্র মাপা হবে না। ’
‘বাংলাদেশে যত সমস্যাই থাকুক আমাদের এই নীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে যে নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে। ’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গি দমনের যুদ্ধ চলছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন যথাসময়ে করা হবে। কিন্তু নির্বাচনের অজুহাতে জঙ্গি দমনের যুদ্ধে এক চুল ছাড় দেওয়া হবে না। জঙ্গি সন্ত্রাসী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে যে বিচার এবং দমন কার্যক্রম চলছে সেখানে কোনো ছাড় হবে না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা।
সঞ্চালনা করেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
এমইউএম/পিসি