ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সাজা হলেও নির্বাচন করতে পারবেন খালেদা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭
সাজা হলেও নির্বাচন করতে পারবেন খালেদা

ঢাকা: মামলায় সাজা হলেও আগামী নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
 
পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষে  বিএনপি জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ লেবার পার্টি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মওদুদ বলেন, আজকে একটা ধারণা পরিষ্কার করে বলে দেই, খালেদা জিয়ার যদি সাজা হয়ে যায় তাহলে তো উনি আর নির্বাচনে অংশ গ্রহণ  করতে পারবেন না- এটা সঠিক নয়।   পরিষ্কার করে বলছি, মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়ার যদি সাজাও হয়, তাহলেও তিনি নির্বাচন করতে পারবেন। তার জনপ্রিয়তা আরো অনেক বেড়ে যাবে। এটা বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তি আমার সঙ্গে দ্বিমত করবেন না।  

তিনি বলেন,  ধরে নিলাম, মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হয়ে গেলো, ভালো কথা। সাজা হয়েছে, আমরা আপিল ফাইট করবো। আপিল হল, যে বিচার হয়েছে এর ধারাবহিকতা। তখন আমরা তার জন্য জামিন নেবো।   সুতরাং সাজা হলেও নির্বাচনে খালেদা জিয়া সরাসরি অংশ নিতে পারবেন।
 
শুধু প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারবেন না, বরং তিনি দল এবং জোটের নেতৃত্ব দিতে পারবেন।   এমন একটা ভাব, উনি যদি সাজাপ্রাপ্ত হন, তাহলে আগামী তিন বছর বা সাত বছর জেলখানায় থাকবেন। এটা হয় না। দেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী আপিল ফাইট করার পরপরই আমরা জামিনের জন্য দরখাস্ত করবো। সাধারণত তিন বছর সাজা হলে এমনিতেই তো জামিন হয়। আর সাত বছর সাজা হলে অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে জামিন নিশ্চিত হবে। খালেদা জিয়া জেলখানা থেকে আবার মুক্ত হয়ে ফিরে আসবেন। এটা-ই হল কথা-বলেন মওদুদ আহমদ।
 
তিনি বলেন, কিন্তু এটা নিয়ে নানা ধরনের  জল্পনা-কল্পনা কথা বার্তা চলছে। নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনকালীন কমিশন কি করবেন, না করবেন এগুলো অপ্রাসঙ্গিক। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।

মওদুদ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যাগুলো সমাধান করতে চাই, আলাপ-আলোচনা, সংলাপ করতে চাই। সমঝোতার মাধ্যমে বর্তমান এই রাজনৈতিক সংকট ও গণতন্ত্রের সংকটের নিরসন চাই। কিন্তু সেটা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে আন্দোলন ছাড়া আর বিকল্প থাকবে না।
 
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে  আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, এনপিপি ড. চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭
এজেড/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।