ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

গাইবান্ধা-১ আসনে উপ-নির্বাচন বুধবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৭
গাইবান্ধা-১ আসনে উপ-নির্বাচন বুধবার

ঢাকা: গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বুধবার (২২ মার্চ)। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকায় ইতিমধ্যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মনজুরুল ইসলাম লিটনের মৃত্যু সৃষ্ট শূন্য আসনের এ উপ-নির্বাচনে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এরা হলেন- আওয়ামী লীগের গোলাম মোস্তফা আহমেদ (নৌকা), জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি (লাঙ্গল), জাসদের মোহাম্মদ আলী প্রামাণিক (মশাল), জেপির ওয়াহেদুজ্জামান সরকার বাদশা (সাইকেল), গণফ্রন্টের শরিফুল ইসলাম (মাছ), এনপিপির জিয়া জামান খান (আম) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তফা মোহসিন (আপেল)।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান জানান, সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। সব ভোট সেন্টারে নির্বাচনী মালামালসহ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা পৌঁছে গেছেন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।  

গাইবান্ধা নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ভোটার যাতে নির্বিঘ্নে ও আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পারেন সেজন্য নির্বাচনী এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ৮ পুলিশসহ ২২ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১০ পুলিশসহ ২৪ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।  

পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ান আনসারের সমন্বয়ে প্রতি ইউনিয়ন এলাকায় ৩টি এবং পৌরসভা এলাকায় ৫টি মোবাইল টিমসহ ৫০টি মোবাইল দল টহল দিচ্ছে ও ১৭টি স্ট্রাইকিং ফোর্স বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ অবস্থানে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় র‌্যাবের ১৭টি টিম এবং ৭ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালনে সদা তৎপর থাকবে।

এদিকে ভোটগ্রহণের দিন এবং এর আগে দু’দিন ও পরে একদিনসহ মোট চার দিন নির্বাচনী এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এছাড়া নির্বাচনী অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ১৯জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও চারদিন নিয়োজিত রয়েছেন। আবার আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নির্বাচনী অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচার সম্পন্নের জন্যও নিয়োজিত করা হয়েছে  ৪জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

যারা গাইবান্ধা ১ নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা বা ভোটার নন তাদের ভোটগ্রহণের ২ (দুই) দিন পূর্বেই নির্বাচনি এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। উক্ত সময়ের পর হতে নির্বাচনি কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া  পর্যন্ত অন্য এলাকার প্রভাবশালীরা নির্বাচনি এলাকায় অবস্থান করলে বা নির্বাচনে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করলে বা করার চেষ্টা করলে পুলিশ প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়া সকল লাইসেন্সধারী অস্ত্রের প্রদর্শনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এমপি মন্‌জুরুল ইসলাম লিটন ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করায় গাইবান্ধা-১ আসনটি শূণ্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। সে মোতাবেক ২২ মার্চ ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করে এ আসনের উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি।

গাইবান্ধা-১ আসনটি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ আসনে নির্বাচনের মোট ভোটকেন্দ্র ১০৯টি এবং ভোটকক্ষ ৬৩৭টি। এতে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪২৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৮৫ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৮৪১জন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৭
ইইউডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।