ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

গাইবান্ধার অধিকাংশ কেন্দ্রেই ভোটারের উপস্থিতি কম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৭
গাইবান্ধার অধিকাংশ কেন্দ্রেই ভোটারের উপস্থিতি কম গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কম-বাংলানিউজ

গাইবান্ধা: শান্তিপূর্ণ পরিবেশে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে বুধবার সকাল ৮টা থেকে। যা চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

তবে সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ দুপুর দেড়টা পর্যন্ত অধিকাংশ কেন্দ্রেই ভোটারের উপস্থিতি অনেকটাই কম দেখা গেছে। থেমে থেমে ভোটাররা আসছেন ভোট কেন্দ্রে।

এছাড়া ভোটারদের মধ্যে নেই কোনো নির্বাচনী আমেজ।

এদিকে বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে কোথাও ভোটারের লম্বা লাইন চোখে পড়েনি। তবে ভোট কেন্দ্রে যেসব ভোটার দেখা গেছে তাদের অধিকাংশই নারী ভোটার।

এ বিষয়ে একাধিক প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে অনেকটাই কম ভোটারের উপস্থিতি ছিলো সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত। এমনকি কিছু কিছু কেন্দ্রে দুপুর পর্যন্ত ১৫ শতাংশরও কম ভোট পড়েছে। তবে কিছু কিছু কেন্দ্রে ৩০/৪০ শতাংশ ভোট জমা হয়েছে। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে দুপুর পর্যন্ত বাজারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, নিজপাড়া আদর্শ ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্র, সুন্দরগঞ্জ ডি-ডব্লিউ ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র, কালিরখামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, কঞ্চিপাড়া সরাকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, চণ্ডিপুর এফএম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ও চণ্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি একেবারেই নাজুক। এছাড়া বাকি কেন্দ্রগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায়ই কেন্দ্রেই ভোটারের উপস্থিতি কম।

কঞ্চিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত এলাকা। চার পুলিশ হত্যা থেকে শুরু করে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ও সর্বশেষ এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকাণ্ডের পর অনেকেই ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। এছাড়া অনেকেই মামলা ও নাশকতার আসামি হওয়ায় ঘর ছাড়া। এ কারণে ভোট কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারের উপস্থিতি কম।

রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো কেন্দ্রেই কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

২০১৬ বছরের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ গ্রামের নিজ বাড়িতে আততায়ীদের গুলিতে এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন নিহত হওয়ায় এ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

তবে নির্বাচনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ভোট সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ১৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ৮ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ১৬টি ইউনিট, ৪ হাজার পুলিশ সদস্য ও আনসার সদস্য ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশের বিশেষ টিম নির্বাচনী মাঠে কাজ করছে।

এ নির্বাচনে লড়ছেন সাতজন প্রার্থী। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের গোলাম মোস্তফা আহমেদ (নৌকা), জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি
(লাঙ্গল), জাসদের মোহাম্মদ আলী প্রামাণিক (মশাল), জেপির ওয়াহেদুজ্জামান সরকার বাদশা (সাইকেল), গণফ্রন্টের শরিফুল ইসলাম (মাছ), এনপিপির জিয়া জামান খান (আম) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তফা মোহসিন (আপেল)।

উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ১০৯টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৪০ ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৮৪১ জন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৭
আরবি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।