বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এই উপ-নির্বাচনে ২ লাখ ৪৬ হাজার ১৩১ জন ভোটার ১১০টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যেই নির্বাচনের সকল সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে নির্বাচনী এলাকায়। বুধবার সন্ধ্যার মধ্যেই সব কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে নির্বাচনের ব্যালট পেপারসহ সব সরঞ্জাম।
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন ও আইন-শৃংখলা বাহিনী। দুই উপজেলায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার ব্যাটালিয়ন থাকবে নির্বাচনের নিরাপত্তার দায়িত্বে। দিরাই উপজেলায় ১০ জন ও শাল্লায় ৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।
নির্বাচনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর ৩ হাজার ২৫৭ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবে। ১৩৭০ জন পুলিশ, ১৩৭ জন র্যাব, ১২০ জন বিজিবি, ৫০ জন আনসার ব্যাটলিয়নের সদস্য, এপিবিএনের ৪০ জন ও ১৫৪০ জন আনসার সদস্য নির্বাচনের মাঠে থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১০ জন করে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত, স্ট্রাইকিং ফোর্স ও পুলিশের ভ্রাম্যমাণ টিম মাঠে কাজ করবে।
সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও দিরাই-শাল্লা উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম এজহারুল হক বলেন, দিরাই-শাল্লায় একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার উদ্যোগ আমাদের রয়েছে। বিজিবি- র্যাবের টহল শুরু হয়েছে। কোথাও টাকা ছড়ানোর বিষয়টি ধরা পড়লে কিংবা কোন ভোটারও যদি প্রমাণসহ ধরে দেন, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিগত ৫ ফেব্রুয়ারি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুর পর এই আসনটি শূন্য হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ২৯ মার্চ, ২০১৭
আরএ