বুধবার ( ২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত আসন্ন প্রতিরক্ষা চুক্তি’ আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব কোন পথে? শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।
মওদুদ আহমদ বলেন, প্রথম বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত। এই সময় দেশে শাসন করেছিল বর্তমান শাসক দল। তাদের হাত ধরেই বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের সূচনা হয়েছিল। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দেশে মোট ৮টি জঙ্গিবাদের ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু এর একটির বিচারও আওয়ামী লীগ করতে পারেনি। ঐ সময় তারা মাত্র এ সব জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত ২ জনকে ধরতে পেরেছিল।
দেশে গণতন্ত্র হননের কারণে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ দমনের এক মাত্র উপায় হলো দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিন জঙ্গিবাদ চলে যাবে।
সরকারের একার পক্ষে জঙ্গিবাদ দমন করা সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, এই সরকার একা কোনো দিনই জঙ্গিবাদকে দমন করতে পারবে না। তার জন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। সরকার যদি উদ্যোগ গ্রহণ করে জঙ্গিবাদ দমনে তাহলে আমরা সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। আসুন সবার সঙ্গে বসুন দেখবেন সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। আর যদি জঙ্গিবাদ সরকারের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার হাতিয়ার হয় তাহলে কিছু বলার নেই।
এ সময় তিনি ভারত বাংলাদেশের সামরিক চুক্তির প্রসঙ্গে বলেন, আমি সরকারকে শুধু এত টুকুই বলবো এমন কিছু করবেন না যাতে করে দেশের স্বার্থের ক্ষতি হয়। দেশের জাতীয় স্বার্থের ক্ষতি হয় এমন যে কোনো চুক্তির আমরা বিরোধিতা করি। আর দেশের মানুষও দেশ বিরোধী কোনো চুক্তি মেনে নেবে না।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক লে.কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদিন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফর ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৯,২০১৭
এমএ/আরআই