সোমবার (০৩ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছেন তাদের আইনজীবীরা।
রোববার (০২ এপ্রিল) পৃথক আদেশে দুই মেয়রকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ।
আরিফের আইনজীবী আব্দুল হালিম ক্বাফী জানান, তাকে বরখাস্তের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের শুনানি হতে পারে।
অন্যদিকে বুলবুলের আইনজীবী আমিনুল হক হেলাল বলেন, ‘আমরা রিট দায়ের প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছি। যেকোনো সময় এটি দায়ের করা হবে’।
সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এনামুল হাবিব রোববার দুপুরে বাংলানিউজকে জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি করপোরেশন অ্যাক্ট উপ-সচিব মো. মাহমুদুল আলম বরখাস্তের ফ্যাক্স বার্তা পাঠিয়েছেন। ওই বার্তায় বলা হয়েছে, ‘আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মামলা- ৪/২০০৯ এর সম্পূরক অভিযোগপত্র গত ২২ মার্চ আদালতে গৃহীত হয়েছে। সেহেতু সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে স্থানীয় সরকার বিভাগ আইন ২০০৯ এর ১২ উপধারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো’।
প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত হত্যাচেষ্টার মামলার চার্জশিটে নাম থাকায় আরিফকে আবারও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দীর্ঘ ২৭ মাস পর রোববারই সিসিকের মেয়রের চেয়ারে ফেরেন তিনি।
অন্যদিকে দায়িত্ব নেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ফের সাময়িক বরখাস্ত হন রাসিকের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। দুপুর তিনটার পর তিনি সিটি করপোরেশনে নিজের কক্ষে বসতে না বসতেই ফ্যাক্সযোগে বরখাস্তের আদেশ আসে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, ‘মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের বিরুদ্ধে মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১, রাজশাহীর মামলা নং- ১৩৬/১৫ (বোয়ালিয়া থানার মামলা নং-১৭, ৮ ফেব্রুয়ারি-২০১৫) অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। সেহেতু স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ (২০০৯ সালের ৬০নং আইন) এর ১২ এর উপধারা (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো’।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৭
ইএস/এএসআর