ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

তিস্তা ছাড়া অন্য কোনো চুক্তি জনগণ মানবে না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৭
তিস্তা ছাড়া অন্য কোনো চুক্তি জনগণ মানবে না মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় তিস্তা ছাড়া অন্য কোনো চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশের জনগণ মানবে না বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকালে শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

সদ্য কারামুক্ত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবীব-উন নবী খান সোহেলকে নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিতে যান মির্জা ফখরুল।

এর ঘণ্টা দেড়েক আগে শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকালে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত পৌঁছান প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা। সফর শুরুর ১২ ঘণ্টা আগে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে- এ সফরে তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না। বরং দু’টি প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারক সই হচ্ছে।

এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা আমাদের বক্তব্য সুস্পষ্ট করে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছি। আমরা খুব স্পষ্ট করেই বলেছি, বাংলাদেশের অন্যতম সমস্যা হচ্ছে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন।
 
তিনি বলেন, এ সমস্যার সমাধান করা অর্থাৎ ন্যায্য হিস্যা পাওয়া, ৫৪টি অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা পাওয়া; সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যা করা হচ্ছে তা নিরসন হওয়া এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ট্যারিফ নন ট্যারিফ যে বাধা রয়েছে সে বাধাকে অপসারণ করা- এগুলোই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা।

এ সমস্যার যদি সমাধান না হয়, তাহলে ভারতের সঙ্গে কোনো রকম প্রতিরক্ষা চুক্তি বা সমঝোতা-কোনোটাই বাংলাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, সরকার বলছে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উচ্চতম পর্যায়ে রয়েছে। উচ্চতম পর্যায়ে যদি থাকে, তাহলে এ ধরনের প্রতিরক্ষা চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক সই করার কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি না।

আমরা সুস্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছি, এ ধরনের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও রাষ্ট্রবিরোধী কোনো চুক্তি বা সমঝোতা বাংলাদেশের জনগণ মেনে নেবে না-বলেন বিএনপির মহাসচিব।

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতের কাছে বিএনপির প্রত্যাশা কী- জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, শুধু প্রতিবেশী দেশের কাছে নয়, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রকামী বিশ্বের কাছে প্রত্যাশা করে, গণতন্ত্রকে সত্যিকার অর্থে এখানে (বাংলাদেশে) ফলপ্রসূ করতে, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে?

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এনি, আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু প্রমুখ।

এদিকে হাবীব-উন নবী খান সোহেলকে নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জিয়াউর রহমানের সমাধি কমপ্লেক্সে আসার আগেই হাজার হাজার নেতা-কর্মী সেখানে উপস্থিত হন।

বেলা পৌনে ১২টায় সমাধিতে ফুল দিলেও সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে চন্দ্রিমা উদ্যানে হাজির হন নেতা-কর্মীরা। ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ঢাকা মহানগর বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা ব্যানার নিয়ে মিছিলসহকারে জড়ো হন জিয়াউর রহমানের সমাধি কমপ্লেক্সে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৭
এজেড/বিএস/এসআরএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।