শনিবার (৮ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে এ সিদ্ধান্ত নেয় মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাই সন্ধ্যার মধ্যে কলেজের হলটি ফাঁকা করে দেওয়ার জন্যেও শিক্ষার্থীদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হল বন্ধ ঘোষণার পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাক্তার মোহাম্মদ নওশাদ আলী বিকেলে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বর্তমানে সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
রামেক উপাধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী বলেন, গত বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাতের ঘটনার পর থেকে ওই হোস্টেলটির শিক্ষার্থীদের মাঝে এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শনিবার সেই উত্তেজনা আরও ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ক্যাম্পাসে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহীদ কাজী নুরুন্নবী ইসলাম আবাসিক হলটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কলেজের পিংকু হলটি খোলা রয়েছে বলে জানান রামেক উপাধ্যক্ষ।
এর আগে বৃহস্পতিবারের ঘটনার জের ধরে শনিবার সকালে রামেক ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় শোডাউন ও মিছিলের পর অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দুপুর থেকে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
রাজশাহীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, পুলিশ মোতায়েনের পর সেখানে কোনো অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। ছাত্ররা হল না ছাড়া পর্যন্ত সেখানে পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে র্যাগ ডের চাঁদা উত্তোলন ও ডাইনিংয়ে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ-ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে অন্তত ৫ জন আহত হন। এ সময় ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করা হয়। ঘটনার পরে রাত আড়াইটা পর্যন্ত কলেজের নুরুন্ননবী হলে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ চাইনিজ কুড়াল ও জিহাদি বই জব্দ করে। এছাড়া ছাত্রশিবির রামেক শাখার সাবেক সভাপতি হেলালসহ ৫ নেতাকর্মীকে আটক করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৭
এসএস/