বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে একটি জনসভায় বক্তৃতা শেষে পরিদর্শনে যান সেখানকার দুটি গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, যুদ্ধের সময় তিনি ধানগড়ার নাজমুল আহসান সিদ্দিকী ও লক্ষীকোলার আহসান হাবীব চৌধুরীর বাড়ীতে চার-পাঁচ মাস ছিলেন।
পুলিশ প্রটোকল এড়িয়ে সরু গলি পেরিয়ে তিনি ঢুকে পড়লেন ঘুটঘুটে অন্ধকার একটি ঝুপড়ি ঘরে। ঘরের ভিতরে চৌকিতে বসে থাকা শতবর্ষী বৃদ্ধা আনিছা বেগমকে জড়িয়ে ধরেন মন্ত্রী। এসময় আনিছা বেগমও মন্ত্রীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন।
সেখানে মন্ত্রী অন্য মানুষের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন। একইভাবে লক্ষীকোলা গ্রামের কয়েকটি বাড়ি ঘুরে কুশল বিনিময় করেন।
স্থানীয়রা বুঝতে পারেননি জনসভা শেষে মন্ত্রী নিজ এলাকার মত ঘুরে বেড়াচ্ছেন কেন?
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল্লাহ আল পাঠান বাংলানিউজকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় মোস্তফা কামাল ধানগড়ার নাজমুল আহসান সিদ্দিকী ও লক্ষীকোলার আহসান হাবীব চৌধুরীর বাড়ীতে কয়েকদিন ছিলেন। সেই স্মৃতি তিনি ভুলে যাননি। দীর্ঘদিন পরে এলেও ঘুরে যান বাড়ি দুটি।
রায়গঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যক্ষ রেজাউল করিম তালুকদার বলেন, যুদ্ধের আগে থেকেই তিনি সিরাজগঞ্জ স্পিনিং এন্ড কটন মিলের একাউন্টেন্ট হিসেবে চাকরি করতেন। ১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল সিরাজগঞ্জে পাকসেনারা ঢুকে পড়লে তিনি রায়গঞ্জের পর্যায়ক্রমে ধানগড়া ও লক্ষীকোলাতে বসবাস করতেন। দীর্ঘ ৪৭ বছর পর তিনি এ মাটিতে ফের পা রাখলেন।
এ সময় পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, এই এলাকা আমার নিজের এলাকার মত। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি যাদের সঙ্গে মিশেছি তারা কেউ বুড়ো হয়নি। অনেককেই সুস্থ্য ও উজ্জীবিত দেখতে পেয়ে আমার অত্যন্ত ভালো লাগছে।
এলাকার উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতারও আশ্বাস দেন মোস্তফা কামাল।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল: ১৪, ২০১৭
এসই/এমএমকে