নববর্ষে খালেদা জিয়ার দেওয়া বক্তব্যের জবাবে শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, যেসব ধর্মীয় দল বাংলা নববর্ষ পালন নিয়ে প্রশ্ন তোলে, যাদের নেতারা আফগানিস্তানে ট্রেনিংপ্রাপ্ত।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রিজভী আহমেদের ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে দুর্বল করার জন্যই পাকিস্তানকে ভেঙেছিলো ভারত’ শীর্ষক বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, এ বক্তব্যের মাধ্যমে কার্যত তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা অস্বীকার করেছেন। মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যেভাবে ভারতের চক্রান্ত হিসেবে অভিহিত করেন, রিজভী আহমেদও ঠিক সেই সুরেই কথা বলেছেন।
এতেই প্রমাণিত হয়, এদেশে পাকিস্তানের স্বার্থ রক্ষার্থে রাজনীতি করছেন খালেদা জিয়া ও তার দল।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ভারতের সঙ্গে করা বাংলাদেশের সমঝোতা স্বারক নিয়ে বিএনপি নেত্রী দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার পাঁয়তারা করছে মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বিষয়ক কোনো চুক্তি হয়নি। যেটি হয়েছে তা হলো সমঝোতা স্মারক। একমাত্র পাকিস্তানবাদে ভারতের সঙ্গে সার্কভুক্ত অন্য সব দেশের সঙ্গে, এমনকি মিয়ানমারের সঙ্গেও বাংলাদেশের এমন সমঝোতা স্মারক আছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালে তুরস্কের সঙ্গে সামরিক চুক্তি করেছিলেন। খালেদা জিয়া ২০০২ সালে মন্ত্রিসভায় কোনোরূপ আলোচনা না করেই চীনের সঙ্গে সামরিক চুক্তি হয়েছিলো। কেবল ভারতের সঙ্গে নয় যুক্ত্ররাষ্ট্র, রাশিয়া, ইতালিসহ বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের এ ধরনের সমঝোতা স্মারক আছে। তাই খালেদা জিয়ার কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক যদি দেশ বিক্রি হয়. তাহলে তুরস্ক বা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সামরিক চুক্তি কি দেশ বিক্রি নয়?
সংবাদ সম্মেলনে আরো ছিলেন- দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসান চৌধুরী, উপ-দফতর বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিলসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৭
ওএইচ/জেডএম