নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সোমবার (০৯ অক্টোবর) সংলাপ শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন উত্তর দেন।
সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, বিএনপি অতীতে তো নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
তিনি বলেন, সংসদে বর্তমানে যেসব দল রয়েছে, সেসব দলের প্রতিনিধি নিয়েই আমরা সংসদ নির্বাচনের অন্তর্বর্তীকালীর সরকারের রূপরেখা দিয়েছি। যেহেতু বিএনপি সংসদে নেই, তাই দুঃখজনক হলেও সত্যি তাদের ছাড়াই আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব করেছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে না থাকলেও আশাকরি দলটি নির্বাচনে আসবে। নির্বাচন কমিশন আমাদের আশ্বস্ত করেছে সুষ্ঠু অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য তারা সকল ব্যবস্থা নেবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপ বেলা ১১টায় শুরু হয়ে দুপুর ১টায় শেষ হয়। এতে জাপার ২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে অংশ নেন এরশাদ।
গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিলো ইসি। এরপর গত ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন।
সংলাপে আসা সুপারিশগুলোর মধ্যে সেনা মোতায়েন, না ভোটের প্রবর্তন, প্রবাসে ভোটারধিকার প্রয়োগ, জাতীয় পরিষদ গঠন, নির্বাচনকালীন অস্থায়ী সরকার গঠন, নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙে দেওয়া, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার ও নির্বাচনকালীন সময়ে ইসির অধীনে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, দলের নির্বাহী কমিটিতে বাধ্যতামূলকভাবে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখান বিধান তুলে নেওয়া ইত্যাদি অন্যতম।
আগামী ১৫ অক্টোবর বিএনপি (ধানের শীষ) এবং ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের (নৌকা) সঙ্গে বসবে নির্বাচন আয়োজনকারী এই কর্তৃপক্ষটি।
এবারের সংলাপ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ অক্টোবর। এক্ষেত্রে ২২ অক্টোবর নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে, ২৩ অক্টোবর নারী নেত্রীদের সঙ্গে সংলাপে বসছে নির্বাচন কমিশন।
**সারাদেশে সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন, সংসদ ভাঙার সুপারিশ
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৭
ইইউডি/বিএস
