বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দফায় দফায় উপজেলা সদর ওছখালীর ব্রিকফিল্ড বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান শিকদার, উপ পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ন, সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) শফিক, আসিকুল ইসলাম ও পথচারী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের আব্দুল করিমের ছেলে শরিফ উদ্দিন (২২)।
স্থানীয়রা জানায়, ২৫ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় হাতিয়া পৌরসভার চর কৈলাশ গ্রাম থেকে ইউপি সদস্য রবীন্দ্র চন্দ্র দাস এবং তার দুই সহযোগীকে আটক করে পুলিশ। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় আটক যুবকদের ফাঁসির দাবিতে ওছখালি বাজারে মিছিল করে আওয়ামী লীগের একাংশের নেতা অ্যাডভোকেট ছাইফ উদ্দিনের নেতাকর্মীরা।
এর জের ধরে বুধবার সন্ধ্যায় ওছখালি বাজারে আটক রবীন্দ্র’র মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে তার পক্ষের লোকজন। পরে মিছিলটি ব্রিকফিল্ড বাজার এলাকায় পৌঁছালে ছাইফ উদ্দিনের সমর্থকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটলে এক পথচারী ও চার পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান শিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, সংঘর্ষকারীদের ছোড়া গুলিতে তিনিসহ চার পুলিশ আহত হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৭ ঘণ্টা, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭
আরএ