ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সংলাপের আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৮
সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সংলাপের আহ্বান সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল/ছবি: বাদল

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য নির্বাচনকে ঘিরে বিদ্যমান সংকটকে আরো ঘনীভূত করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এসময় বাস্তবতা মেনে নিয়ে জনগণের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান সংকট নিরসনের আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ভাষণ অনৈতিক, অসাংবিধানিক ছিল মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেশকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। তার (প্রধানমন্ত্রী) বক্তব্যে গত (৫ জানুয়ারি) নির্বাচনের মতোই আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনের পরিকল্পনার কথা প্রকাশ পেয়েছে।

ফখরুল বলেন, জনগণের আশা ছিল প্রধানমন্ত্রী প্রকৃত রাজনৈতিক সংকট নিরসনের বক্তব্য দিবেন। তা না করে তিনি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা জোর দিয়ে বলেছেন। এতে জাতি আরো হতাশ হয়েছে।

সংবিধানে 'নির্বাচনকালীন সরকার' সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট বিধান নেই উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী যদি সংসদ বহাল রেখে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে সেই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। কারণ, সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় নির্বাচনকালীন সরকার হবে বিদ্যমান সরকারেরই অনুরূপ। সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার কেবল রুটিন ওয়ার্ক করবে- এমন কিছু উল্লেখ নেই।

তিনি বলেন, দলীয় পক্ষপাতমূলক নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছিলাম। কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী যদি আন্তরিকভাবে নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে নতুন কিছু ভেবে থাকেন তা হলে তার উচিত হবে এ নিয়ে সব স্টেক-হোল্ডারদের সঙ্গে সংলাপের উদ্যোগ নেয়া।

নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা কেমন হতে পারে তা নিয়ে বিএনপি চিন্তা ভাবনা করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দল মনে করে একটি আন্তরিক ও হৃদ্যতাপূর্ণ সংলাপের মাধ্যমে একাদশ সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে অর্থবহ সমাধানে আসা সম্ভব।

একটি সুন্দর পরিবেশে সংলাপটি অনুষ্ঠিত হলে জাতির মনে যে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলেও আস্থা রাখতে চান বিএনপির এই নেতা।  

সংবাদ সম্মেলনে দেশের উন্নয়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন তিনি।

এসময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলসম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছিলেন, 'সংবিধান অনুযায়ী ২০১৮ সালের শেষদিকে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা আমাদের সংবিধানে সম্পূর্ণভাবে বলা আছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। সেই সরকার সর্বতোভাবে নির্বাচন কমিশনারকে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা দিয়ে যাবে'।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
এএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।