ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ডিজিটাল রাজনীতি করলে হবে না, তারেককে ডা. জাফরুল্লাহ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৮
ডিজিটাল রাজনীতি করলে হবে না, তারেককে ডা. জাফরুল্লাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লন্ডনে বসে ডিজিটাল রাজনীতি করলে দেশে আন্দোলন হবে না। দেশের নেতা-কর্মীদেরই আন্দোলন করতে হবে।

রোববার (২৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত সুনীল গুপ্তের স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সুনীলগুপ্ত স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে।

 

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজকের বিএনপিকে তারেকনির্ভর হলে হবে না। হয়তো তারেক এক সময় এদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। তবে এখন লন্ডনে বসে ডিজিটাল রাজনীতি করে দেশে আন্দোলন হবে না। আন্দোলনের জন্য এক খালেদা জিয়াই যথেষ্ট। উনি (খালেদা জিয়া) তো বলেছেন, যেখানেই থাকি আপনাদের সঙ্গে আছি।

‘বিএনপি যতদিন পরিবারতন্ত্রে আবদ্ধ থাকবে, ততদিন নেত্রীর মুক্তি হবে না। এটা বিএনপির দুর্ভাগ্য। দেশের প্রতিটি মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। বাংলাদেশের জনগণ পরিবর্তন চাইছে। পরিবারতন্ত্র ছেড়ে দিলে খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান জানানো হবে। ’

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমার কাছে বিভিন্ন জন জানতে চান, ভাই কী হবে? বিভিন্ন নেতার নাম ধরে বলেন, উনারা কিছু করবেন না। আমি বলেছিলাম আপনারা আসেন! তখন তারা বলেন, একবার ডাক দিয়ে দেখুন। এজন্য আমি বলি বিএনপিকে একটু অন্যভাবে অগ্রসর হতে হবে। ’

বিএনপিতে আন্দোলনের অনেক নেতা রয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্দোলনের জন্য বিএনপির বহু নেতা আছেন। খালেদা জিয়াকে এখন সপ্তাহে তিনটি মামলার হাজিরা দিতে হয়। আপনারা খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন না করে তার সুবিচারের আন্দোলন করুন।  

‘আমি অনেকবার বলেছি, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই না। তার প্রতি সুবিচার প্রত্যাশা করি। আজ পযর্ন্ত বিএনপি একবারও বলেনি তারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা চায়,’ যোগ করেন বিএনপিপন্থি হিসেবে পরিচিত এই বুদ্ধিজীবী।  

ক্ষমতাসীনদের প্রতি ইঙ্গিত সমালোচনা করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, একটি পক্ষ ইসলামী ব্যাংক দখল করে সর্বনাশ করে দিয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের প্রতি আমাদের দরদ না থাকতে পারে। কিন্তু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হিসেবে তো ভালো চলছে। অথচ এক বছর কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যাংকটি শেষ হয়ে গেছে।  

‘এখন আসছে স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের দিকে। এ রকম আরও দু’চারটি ব্যাংক শেষ হয়ে যাবে। এসব কারা করছে? মানুষ নিশ্চয়ই জানে এবং বুঝছে। ’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমদ।  

আয়োজক সংগঠন সুনীলগুপ্ত স্মৃতি সংসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৮
এসই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।