ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

তারেক রহমান গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচিত: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৮
তারেক রহমান গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচিত: ফখরুল স্মরণসভায় বক্তৃতা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন নির্বাচিত করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনার জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাজাপ্রাপ্ত কিসের? তিনি (তারেক) আমাদের পার্টির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউন্সিলে নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি চেয়ারপারসনের দায়িত্ব নেবেন। এটা আমাদের গঠনতন্ত্রে আছে। এতে আপনাদের বলার কিছু নেই।

বুধবার (২ মে) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক স্মরণসভায় এ কথা বলেন ফখরুল। বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টুর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

ফখরুল বলেন, তিনি (তারেক) যোগ্য বলেই তাকে আমরা নির্বাচিত করেছি। আর তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নাকি ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলাপ করছেন দেশে ফিরিয়ে আনবেন। ভয় দেখাচ্ছেন কেন? দেশে যদি আসতে হয় তিনিই (তারেক) আসবেন, যেদিন তিনি মনে করবেন জন্মগত নাগরিক হিসেবে তার দেশে ফিরে আসবেন। সেদিন আপনারা দেখবেন তার জনপ্রিয়তা কত। মানুষ তাকে কত ভালবাসে। সেদিন দেখবেন কোটি কোটি মানুষ তাকে বরণ করার জন্য এয়ারপোর্টে যাবে।
 
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো করেছে, একটা মামলারও কোনও ভিত্তি নেই। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা ১১ বার আইও (তদন্ত কর্মকর্তা) চেঞ্জ করেছে। সর্বশেষ যে আইওকে দিয়ে এটা করানো হয়েছে, তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রার্থী ছিলেন। আর যে মুফতি হান্নানকে দিয়ে স্বীকারোক্তি নিয়েছিল, তাকে তো ফাঁসি দিয়ে দিয়েছে। তিনি (মুফতি হান্নান) কোর্টে এসে বলেছিলেন, যে তাকে দিয়ে জোর করে ১১৩ দিন রিমান্ডে নিয়েছিল।

পাল্টা প্রশ্ন করে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি সাজাপ্রাপ্ত (তারেক) কোন মামলায়? যে মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন? তাকে খালাস দেওয়ার পরে ওই বিচারককে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। আপনারা (সরকার) সমস্ত সাজাপ্রাপ্ত লোকদের নিয়ে মন্ত্রিপরিষদে বসে রয়েছেন। আপনাদের মামলাগুলো নিজেরা নিজেরা তুলে নিয়েছেন।

তিনি বলেন, গতকাল নির্বাচন কমিশন প্রেস ব্রিফিং করে বলেছে, অক্টোবর মাসে নাকি জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন। এর জবাবে বলতে চাই, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন কখন? যখন নির্বাচনের জন্য জাতি প্রস্তুত থাকবে? আপনারা ভয়াবহভাবে রাজনৈতিক সংকট তৈরি করেছেন। এদেশের মানুষ আপনাদের অধীনে নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। আপনারা সরকারে থাকবেন আর নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, এটা এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। আমরা একা নই, সমস্ত রাজনৈতিক দল বলছে নির্বাচনের সময় একটা নিরপেক্ষ সরকার থাকা উচিত। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল, সঠিকভাবে তিনটা ইলেকশন হয়ে গেছে কেউ কোনও প্রশ্ন তোলেনি। আজকে আপনারা ক্ষমতায় আসার পরপরই নির্বাচন প্রক্রিয়াকে পুরোপুরিভাবে নিজেদের দলের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার আগে অবশ্যই বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান করতে হবে। সব রাজনৈতিক দলের সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
 
নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদ আয়োজিত এ স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সাইদ হাসান পিন্টু। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন, নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টুর স্ত্রী বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাসিমা আক্তার কল্পনা প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৮
এমএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।