ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা তৃতীয়শক্তিকে সুযোগ দেওয়ার ষড়যন্ত্র’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
‘ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা তৃতীয়শক্তিকে সুযোগ দেওয়ার ষড়যন্ত্র’ মানববন্ধনে বক্তব্য দিচ্ছেন হাছান মাহমুদ-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: ড. কামাল, মির্জা ফখরুল সাহেবদের সাত দফা দাবি সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করে তৃতীয়শক্তিকে সুযোগ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র। তাদের এই দাবির মূল কথা হচ্ছে, সংসদ বাতিল করতে হবে। সংসদ বাতিল করলে দেশে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে, এতে অপশক্তির আবির্ভাব ঘটার সুযোগ তৈরি হবে। সুতরাং তারা নির্বাচন চায় না। তারা দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করে তৃতীয়শক্তিকে সুযোগ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত সমাবেশ ও মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ একথা বলেন।

ড. কামাল হোসেনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কথায় কথায় বলেন উনি সংবিধানের প্রণেতা।

প্রকৃতপক্ষে ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির একজন হিসেবে তিনি কাজ করেছিলেন। আর তিনি আজ সংবিধান বহির্ভূত কথা বলছেন।

ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যের আহ্বায়ক নয়, তিনি এখন বিএনপির প্রকৃত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন মন্তব্য করে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কামাল হোসেন প্রকৃতপক্ষে জাতীয় ঐক্যের নামে তারেক রহমান আর খালেদা জিয়ার বিকল্প হিসেবে বিএনপির চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করছেন। আজ এটিই হচ্ছে বাস্তবতা।  

ড. কামাল হোসেনের  সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা মানুষের উপর পেট্টোল বোমা নিক্ষেপ করেছে, যারা একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করেছে, যারা মিথ্যা জন্মদিন পালন করে তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংলাপ কোনভাবেই হবে না। এই সংলাপের কোনো ভিত্তি নেই। সুতরাং সংলাপ যদি দরকার হয় এবং তারা যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলতে পারে। সরকার নির্বাচন পরিচালনা করে না। নির্বাচনের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সরকার থাকবে সেই সরকার শুধু রুটিন কাজ পরিচালনা করবে। সুতরাং আপনাদের যদি কোনো আলাপ থাকে তাহলে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেন।  

বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যের নেতাদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ছয় কিংবা সাত সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সুতরাং নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র পরিহার করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।

আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি চিত্রনায়িকা ফারহানা আমিন নতুনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শামসুল হক টুকু এমপি, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।