ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ভোট পেছানোর বাহানায় তৃতীয় অপশক্তির আবির্ভাব হতে পারে

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৮
ভোট পেছানোর বাহানায় তৃতীয় অপশক্তির আবির্ভাব হতে পারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: ঐক্যফ্রন্টের সাত দফার বেশিরভাগ মেনে নিতে সম্মত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তারা এমন কিছু বিষয় নিয়ে এসেছেন যেগুলো ৯০ দিনের মধ্যে সম্ভব নয়। এটা নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার বাহানা। এমন হলে যে কোনো সময় তৃতীয় কোনো অপশক্তি এসে এক-এগারোর মতো কোনো ঘটনা ঘটাতে পারে। 

বুধবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সংলাপ শেষে গণভবনের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, নেত্রী পরিষ্কার করে তাদের আশ্বস্ত করেছেন, তিনি যেটা বলেছেন সেটা সত্য।

জনগণের সঙ্গে কোনো প্রতারণা করবেন না। কোনো কারচুপি, জালিয়াতি হবে না। ফেয়ার, এক্সেপটেবল নির্বাচন হবে। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা যে কোনো কেন্দ্রে যাবে যেভাবে খুশি যাবে।

‘আমরা আশাবাদী। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, একটি ফেয়ার নির্বাচন হবে, আপনারা সহযোগিতা করুন। যেটা সবার জন্য ভালো হবে। ’

এক প্রশ্নের জবাবে সত্যিকারের রাজবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং আইনমন্ত্রীকে বিষয়টি ক্ষতিতে দেখার কথা বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।  

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, সংলাপে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আগামীকাল (৮ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে গত কয়েকদিনে যে আলোচনা হয়েছে তার সারসংক্ষেপ নিয়ে আমাদের অবস্থান, সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন। তারা পদযাত্রা করবে, রোডমার্চ করবে এগুলো তো গণতান্ত্রিক কর্মসূচি। তবে এগুলোর নামে কোনো বিশৃঙ্খলা করলে সেটা মেনে নেওয়া হবে না।  

খালেদার মুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, খালেদার মুক্তি ওইভাবে তারা চাননি। জামিন চেয়েছেন।  

এসময় সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

২৮ জানুয়ারি সংসদ বসেছে সেদিন থেকে হিসাব করে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু তারা সংলাপে প্রস্তাব দিয়েছেন নির্বাচন সংসদের মেয়াদ শেষে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে করার। কিন্তু এটা সংবিধানের বাইরে। তাই আমরা এতে সম্মত হইনি। আর একজন প্রধান উপদেষ্টাসহ ১০ জন উপদেষ্টা রেখে নির্বাচন করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়।

আরও এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংলাপ শেষ, সংলাপ হওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। তবে নির্বাচনের সময় প্রয়োজন হলে আলোচনা হতে পারে।


***নির্বাচনের প্রক্রিয়া-আলোচনা এগোবে, তবে সংলাপ শেষ
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৮
এসকে/টিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।