ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি কৌশলে গোলোযোগ সৃষ্টি করছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৮
বিএনপি কৌশলে গোলোযোগ সৃষ্টি করছে ধানমন্ডি কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ও বানচাল করতে বিএনপি কৌশলে গোলোযোগ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
 
তিনি বলেন, নির্বাচনকে বানচাল করার অপকৌশল হাতে নিয়েছে বিএনপি।

তারা বিভিন্নস্থানে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীদের অফিসে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছে। ভুয়া ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে। কক্সবাজারে ভুয়া ব্যালট পেপারসহ এক বিএনপিকর্মী ধরা পড়েছে। তারা কৌশলে এ সমস্ত গোলযোগ সৃষ্টি করছে নির্বাচন বানচাল করার জন্য।  

এসময় এক প্রশ্নে উত্তরে আবদুর রহমান বলেন, বিএনপি যেসব মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে সেটা আদালতে হয়েছে। এখন নির্বাচনের পুনঃতফসিলের কোনো সুযোগ নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই। এসব তারা বলছে নির্বাচন কমশিনকে মানসিকভাবে চাপে রাখার জন্য। নিজেরা গোলযোগ করছে আর মিথ্যা অভিযোগ নির্বাচন কমিশনকে দিচ্ছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুর সবুর, উপ দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য আক্তারুজ্জামান।  


আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানের নিউজের বাকী অংশ

ধানের শীষের প্রার্থিতা বাতিল নিয়ে বিএনপির পুনঃতফসিলের দাবি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে আবদুর রহমান বলেন, বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে, আদালত যে ব্যাখা দিয়েছেন, আদেশ দিয়েছেন তার উপর ওই প্রার্থীরা বাতিল হয়েছে। এ জায়গায় পুনঃতফসিলের কোন সুযোগ নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই। আদালতের উপর সরকারের কোনো হাত নেই।

আবদুর রহমান প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে আরও যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী নির্বাচনকে বানচাল, ভণ্ডুল ও নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানা ধরনের ছল-চাতুরি করে যাচ্ছে। গত কয়েক দিনে বিএনপি নেতাদের আচার আচরণে নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ঠ করতে কাজ করে চলেছেন। তারা প্রজাতন্ত্রের নিরপেক্ষ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অযথা বিদেশে ছড়াচ্ছে। আতঙ্ক তৈরির করার জন্য তারা কাজ করে যাচ্ছে।  

অসত্য অভিযোগের পরিপেক্ষিতে একজন ডিসি, ২ জন এডিসি ও ৪ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এ এখতিয়ার অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, কিন্তু তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। অভিযোগ করলেই সত্যতা যাচাই না করে প্রত্যাহার করা, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে আরও যত্নবান হতে হবে। এ ব্যাপারে তাদের স্বচ্ছতার জায়গা আরও পরিষ্কার করতে পারে। আমি আহ্বান জানানো নির্বাচন কমিশন সে বিষয়ে আগামীতে আরও যত্নবান হবেন।  

আবদুর রহমান বলেন, আমরা যে কথাটি বিভিন্ন জায়গা থেকে পেয়েছি, তা হলো নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য জাল ব্যালট পেপার পর্যন্ত ছাপানোর ব্যবস্থা করেছে বিএনপি। কক্সবাজারে বিএনপি-জামায়াতের কাছে এ ধরনের জাল ব্যালোট পেপার পাওয়ার গেছে। আমরা লক্ষ্য করছি সারা দেশে বিএনপি-জামায়াত ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা পরিকল্পিতভাবে নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তারা মুন্সিগঞ্জ, সিলেট, টাঙ্গাইল, খুলনার পাইকগাছায়, ঢাকা-১৫ আসনে কামাল মজুমদারের নির্বাচনী প্রচারে হামলা করেছে। ড. কামাল হোসেন ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কেন্দ্র পাহারা দেওয়ার নির্দেশনার পর থেকেই বিএনপির কর্মীরা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৮
এসকে/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।