ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নতুন হিসেবে চাপ আছে, তবে শেখার চেষ্টা করবো: তন্ময়

শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৯
নতুন হিসেবে চাপ আছে, তবে শেখার চেষ্টা করবো: তন্ময় বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলছেন শেখ সারহান নাসের তন্ময়/ছবি: বাংলানিউজ

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: শেখ পরিবার থেকে নির্বাচিত নতুন সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়। অল্প ক’দিনেই তিনি হয়ে উঠেছেন তরুণ প্রজন্মের আইকন। 

বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের শপথকক্ষে এমপি হিসেবে শপথগ্রহণের পর বাংলানিউজকে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, আজ শপথের সময় যেসব বাক্য উচ্চারণ করলাম সেসব শব্দ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে পারলে নিজেকে সফল ভাববো।

বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলালের পুত্র শেখ সারহান নাসের তন্ময় এবার বাগেরহাট-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।

চারদিকে আলোচনা উঠেছে মন্ত্রিপরিষদে নতুন মুখ হিসেবে থাকতেও পারেন তন্ময়। তবে বিষয়টি একদমই দলের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
 
শেখ সারহান নাসের তন্ময় বলেন, শপথ নেওয়ার পরে শেখার অনেক কিছুই আছে। তাছাড়া শপথ নেওয়ার সময় যেসব শব্দ উচ্চারণ করলাম সেসব শব্দ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেত পারলে নিজেকে সফল ভাববো।
 
তিনি বলেন, শপথের পর আসলে অত্যন্ত খুশি। এটা একটি শব্দ দিয়ে বোঝোনো যাবে না। সংসদে সিনিয়র পার্লামেন্টারিয়ানরা আছেন, আমাদের নেত্রী আছেন। এখানে শেখার অনেক কিছু আছে। এখন সংসদ ঘুরে দেখছি। নতুন হিসেবে চাপ আছে, তবে শেখার চেষ্টা করবো।
 
রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ একমাত্র আওয়ামী লীগের মাধ্যমেই সম্ভব- এমন ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, আমাদের দলের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার বেশ কিছু তরুণকে সুযোগ দিয়েছেন। খেলার জগৎ থেকে মাশরাফি আসছেন, জন সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য হিসেবে আসছেন। আজ সংসদীয় দলের বৈঠকে আমাদের করণীয় ও ভূমিকা বুঝিয়ে দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে কীভাবে কাজ করতে হবে সেসব ধারণা দিয়েছেন। সেই জায়গা থেকে যদি কাজ করি, তাহলে নিশ্চয়ই তরুণরা আগ্রহী হবেন।
 
‘১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধু ও চার নেতাকে হত্যার পর যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল, তারপর দীর্ঘসময় দীর্ঘ আন্দোলন অত্যাচার নিপীড়ন সহ্য করে প্রধানমন্ত্রী দেশকে একটা পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। এখান থেকে আমরা যারা তরুণ তাদের অনেক দায়িত্ব আছে। আমাদের সামনের দিকে নিয়ে যেতে হবে। ’

এই তরুণ আইকন বলেন, তরুণরা আর ২০০১ সালের সেই সহিংস রাজনীতিতে ফিরে যেতে চায় না। আমরা সবাই অনেক সচেতন। নিজের দলের রাজনীতির আদর্শ নিয়ে সচেতন। আমাদের সবার উচিত হবে সর্তকভাবে কাজ করা। জনগণ যে প্রত্যাশা নিয়ে আমাদের নির্বাচিত করেছেন সেই বিষয়টাকে ধরে রাখতে হবে।

রাজনীতিতে আসার পর তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তুমুল আলোচনা আছে তাকে নিয়ে- এ বিষয়ে তন্ময় বলেন, আসলে নতুনরা যখনই আসে সব সময় তাদের নিয়ে একটা ইতিবাচক আলোচনা থাকে। সেই ইতিবাচক আলোচনার মধ্যে এবার আমি ছিলাম, অন্য অনেকেই ছিলেন। তরুণদের অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা তাদের স্বপ্নটা আমাদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে চান। তারা দেখতে চান তাদের কথাগুলো আমরা আলোচনা করি কিনা? আমাদের পক্ষে যতটুক করা সম্ভব আমি এবং অন্যরা চেষ্টা করবেন বলে আশাকরি।
 
রাজনীতিতে তরুণদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা উচিত না উল্লেখ করে বলেন, তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতির হাতিয়ার  হিসেবে ব্যবহার করা অন্যায়। তরুণদের থেকে আমাদের  আলাদা ভাবলে চলবে না। আমরাও  তাদের অংশ। কাজেই তারা যে চিন্তা-ভাবনা করেন আমরাও সেটা করি।

মন্ত্রিসভায় আসা নিয়ে আলোচনার জবাবে বলেন, আমি নতুন মানুষ, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলাম। তো সংসদ সদস্য হিসেবে আমার কিছু কর্তব্য আছে। তাছাড়া আমার এখানে কাজ শিখতে হবে। মন্ত্রিপরিষদে যদি নেত্রী মনে করেন, এমপি হিসেবে যদি আমার পারফরমেন্স ভালো থাকে তাহলে ভবিষ্যতেরটা ভবিষ্যতের জন্যই থাকবে।  

‘তাছাড়া সম্পূর্ণ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করছে। আমার পরিবারেরও একটা বড় ভূমিকা থাকে। আমার রাজনীতিতে আসা নিয়েও আমার পরিবারে আমার ভাই-বোনদের ভূমিকা আছে। আমার নেত্রী ও ছোট ফুফু আছেন, আমার বাবাও আছেন। সবার সহমত নিয়ে আজ আমি এখানে এসেছি। সবার সহমত নিয়েই ভবিষ্যতের পথচলাটা শুরু হবে। আমার পারিবারিক সিদ্ধান্ত ও দলীয় সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে মন্ত্রীর বিষয়টা। এনিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৯
এসকে/এসএম/এমইউএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।