ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত সৈয়দ আশরাফ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৯
শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত সৈয়দ আশরাফ সৈয়দ আশরাফকে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: শাকিল/বাংলানিউজ

ঢাকা: দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তার মরদেহে ফুল দিয়ে চোখের জলে শেষবারের মতো প্রয়াত এ রাজনীতিককে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তারা। 

শনিবার (০৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকেই বেইলি রোডের ২১ নম্বর বাড়িতে নেওয়া হয় প্রয়াত সৈয়দ আশরাফের মরদেহ। এর আগে সন্ধ্যায় ব্যাংকক থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে (বিজি-০৮৯) তার মরমেহ দেশে আনা হয়।

 

সন্ধ্যা ৭টায় প্রয়াত সৈয়দ আশরাফের কফিনবন্দি মরদেহ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেইলি রোডের বাসায় আনা হয়। সেখানে তাকে শেষবারের মতো দেখতে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।  

পড়ুন>>শেষবারের মতো বেইলি রোডের বাসায় সৈয়দ আশরাফ

শেষ বারের মতো প্রিয় নেতাকে দেখতে সমবেত হয়েছেন ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জের নেতাকর্মীরাও; যেখানে শৈশব ও যৌবনের সময়গুলো কেটেছে সৈয়দ আশরাফের।  

মোনাজাতে অংশ নেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।  ছবি: জিএম মুজিবুর/বাংলানিউজআওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ছাড়াও তাকে শ্রদ্ধা জানান বিচারপতি, সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, সামাজিক- সাংস্কৃতিক এবং পেশাজীবী সংগঠনের নেতা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের রাজনৈতিক কর্মীরা।  

শ্রদ্ধা জানানোর পর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, সৈয়দ আশরাফ ছিলেন রাজনীতির দিকপাল। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার অনস্বীকার্য অবদান, যা তাকে অবিস্মরণীয় করে রাখবে। সব সময় সাধারণ জীবন-যাপন করতেন। রাজনীতি ও পরিবারের মধ্যে সব সময় রাজনীতিকে প্রাধান্য দিতেন তিনি।  তার চলে যাওয়া আমার অপূরণীয় ক্ষতি।  

কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজন ও দলের নেতাকর্মীরা।  ছবি: জিএম মুজিবুরএ সময় প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, রাজনৈতিকভাবে উনার কাছে আমি অনেক কিছু শিখেছি। সত্যিই তাকে ভোলা যাবে না। আদর্শের দিক থেকে তিনি কখনও সরে আসেননি।  

‘সহজ-সরল জীবন-যাপন করা সৈয়দ আশরাফকে তার রাজনৈতিক আদর্শের জন্য আওয়ামী লীগসহ অন্যান্যরাও তাকে ভুলতে পারবে না। তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনুসরণীয় হয়ে থাকবেন। ’

গত ৩ জানুয়ারি ব্যাংকক সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সেখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৭ বছর।  

জাতীয় চার নেতার অন্যতম ও মুক্তযুদ্ধকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফ আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কাণ্ডারী হয়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।  

টানা দুইবার মুক্তযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দলটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন কিশোরগঞ্জ-১ আসনে পাঁচবারের এই সংসদ সদস্য।  

মরদেহবাহিী অ্যাম্বুলেন্স বেইলি রোডে সৈয়দ আশরাফের বাড়িতে।  ছবি: শাকিল/বাংলানিউজবেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে নিয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘরে রাখা হবে আশরাফের মরদেহ। রোববার (৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা হবে। এরপর হেলিকপ্টারে করে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তার জেলা কিশোরগঞ্জে। দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠে সৈয়দ আশরাফের দ্বিতীয় জানাজা হবে।

এরপর তৃতীয় নামাজে জানাজা দুপুর ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাঁ মাঠে সম্পন্ন হবে। সেখান থেকে মরদেহ ঢাকায় নিয়ে এসে বাদ আসর বনানী কবরস্থানে দাফন হবে সৈয়দ আশরাফকে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৯
জিসিজি/এমইউএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।