ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে অসংলগ্ন কথা বলছে বিএনপি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে অসংলগ্ন কথা বলছে বিএনপি নিজ দফতরে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে বিএনপি। এজন্য তারা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ  করার জন্যই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করা। সেজন্য নানা ধরনের কথা বলছেন।

সোমবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিজ দফতরে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিষদগারের প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।  

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ৩০ ডিসেম্বর বিএনপির ভরা ডুবি হবে সেটা তারা জানতেন।

এজ্যন তারা প্রচার প্রচারণা ঠিকমতো করেনি। তারা ৩শ আসনে ৮০০ প্রার্থীকে মনোনয়োন দিয়েছেন। এতে করে প্রার্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। আমরা বহুমাত্রিক প্রচার চালিয়েছি। এছাড়া আমাদের প্রার্থীরা মোবাইল ফোনে প্রচারণা চালিয়েছে। এগুলোর কোনটাই বিএনপি করেনি। তারা প্রচারণার জন্য পোস্টার পর্যন্ত লাগায়নি।  

রিজভীকে উদ্দেশ্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, রিজভীর এ ধরনের বক্তব্যে তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্তের প্রকাশ করছে। তাদের উচিৎ, কেন তাদের নির্বাচনে পরাজয় হলো, কেন প্রার্থীরা প্রচারণা করেনি তা খুঁজে বের করা। নাচতে না জানলে উঠান বাঁকার মতো বক্তব্য না দিয়ে কেন পরাজয় হলো তা বিচার-বিশ্লেষণ করে বের করা।  

তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের মতো শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বাংলাদেশে এর আগে হয়নি। পুলিশের হিসাব মতে, প্রতি নির্বাচনে তাদের ওপর হামলা হয়, অনেক পুলিশ আহত ও নিহত হয়। এ নির্বাচনে কোনো পুলিশ আহত হয়নি। নির্বাচন ছিল অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর।  

হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা একটি শক্তিশালী বিরোধীদল সংসদে চাই। বিএনপির এ ধরনের শোচনীয়  পরাজয় হবে আমরা ভাবতেই পারিনি।

নবম ওয়েজ বোর্ড নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলে, সরকার নতুন হওয়ায় কমিটিগুলো নতুন করে গঠন করতে হয়। তাই নবম ওয়েজ বোর্ডের জন্যও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। এতে ৫ মন্ত্রী ও ২জন প্রতিমন্ত্রী রয়েছে। তাই ২৮ জানুয়ারির মধ্যে গেজেট দেওয়া কি সম্ভব? এর জন্য মন্ত্রণালয়সহ সাংবাদিকের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। এছাড়া অনেক ধাপ অতিক্রম করতে হবে।  

অনলাইন পত্রিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, অনলাইনের জন্য নীতিমালা করা হয়েছে। নীতিমালার আলোকে আগে নিবন্ধন করেন। আপনাদের সহযোগিতা চাই। আশা করি আস্তে আস্তে আমরা সব করতে পারবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
জিসিজি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।