ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকার খালি করার নীতিতে চলছে: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
সরকার খালি করার নীতিতে চলছে: রিজভী অনুদানের তুলে দিচ্ছেন রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপির নেতারা

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সরকার খালি করার নীতিতে বিশ্বাসী দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী সরকার খালি করার নীতিতে চলছে। একদিকে খুন-গুম মামলা হামলার মাধ্যমে বিএনপিকে খালি করা হচ্ছে, অন্যদিকে সরকারের লোকেরা বস্তিবাসীদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে তাদের জায়গাটা দখল করে নিচ্ছে।

সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিরপুর-৭ নম্বর সেক্টর চলন্তিকা মোড়ের বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মহানগর উত্তর বিএনপির পক্ষ থেকে অনুদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

রিজভী বলেন, বিএনপি ও বিরোধীদলকে গুম-হত্যা মামলা আর গ্রেফতারের মাধ্যমে খালি করছে।

আর অসহায় বস্তিবাসীদের বসবাসের যেসব জায়গার ওপর শকুনের দৃষ্টি পড়ছে, সে জায়গাটা দখল করার জন্য আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মিরপুরের চলন্তিকা মোড়ের বস্তির অসহায় মানুষদের বসবাসের জায়গায়ও আগুন লাগিয়ে দিয়ে তাদের মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। পরে সেই জায়গাগুলো তারা দখল করে নিয়েছে। এটাই হলো আওয়ামী সরকারের খালি করার নীতি।

তিনি বলেন, সরকারের এই খালি করার নীতি থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সবাইকে একযোগে লড়াই করতে হবে। লড়াই না করলে আমাদের কারও অস্তিত্ব থাকবে না। কারও বাড়ি ঘর থাকবে না। কারও সন্তান থাকবে না।

ডেঙ্গুজ্বরে মানুষ মারা যাচ্ছে আর সরকারের মন্ত্রীরা তা নিযে উপহাস করছেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ডেঙ্গুর ভয়াবহ পরিস্থিতিতে তারা গর্ব করে বলেন, দেশ উন্নতির দিকে গেলে নাকি সেখানে ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ হয়। কী তামাশা জনগণকে নিয়ে। ডেঙ্গু একটা মহামারি, এতে মানুষ মারা যাচ্ছে, আর তারা হাসি-তামাশা করছেন। মানুষকে নিয়ে উপহাস করছেন। কারণ তাদের ভোটের দরকার হয় না।  

পরে কয়েকজন বস্তিবাসীর হাতে অনুদান তুলে দেন রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপির নেতারা।

মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পল্লবী থানা বিএনপির সভাপতি কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন, মহানগর উত্তরের যুগ্ম-সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন মতিন, রূপনগর থানা সভাপতি মো. আওয়াল, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান, বাড্ডা থানার সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রেজাউল করিম, মিরপুর থানা বিএনপির নেতা মো. আলাউদ্দিন, মো. মন্টু, মোহাম্মদপুর থানার সভাপতি ওসমান গনি শাহজাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
এমএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।