ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে বিএনপি-জামায়াত চক্র তৎপর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে বিএনপি-জামায়াত চক্র তৎপর

ঢাকা: বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে বিএনপি-জামায়াতের একটি চক্র এখনও তৎপর বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।

তিনি বলেছেন, এই বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য বিএনপি-জামাতের একটি চক্র এখনও তৎপর। এ দেশ যখন উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে যায় তখন পদে পদে বাধাগ্রস্ত করে তারা।

এখন আবার তারা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় হানিফ এসব কথা বলেন।  

আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরর উদ্দেশ্যে হানিফ বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব দেশকে যদি ভালোবাসেন একটি অনুরোধ করবো। আপনাদের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং কথাবার্তা বন্ধ করুন। তাহলে দেখবেন সব সমস্যার সমাধান দ্রুত হবে।  রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানসহ সব সমস্যার সমাধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই হবে। দয়া করে আপনারা উস্কানিটা বন্ধ রাখুন।
  
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য জাতীয় ঐক্যের কথা বলছেন ভালো। কিন্তু আপনার নেতা জিয়াউর রহমান এদেশের রাজাকার-আলবদর-আলশামসদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে জাতির মধ্যে একটা সুস্পষ্ট বিভেদ তৈরি করে দিয়েছেন। আপনাদের মুখে জাতি ঐক্যের কথা যাতে শুনতে চায় না। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির সঙ্গে ঐক্যের কোনো প্রয়োজন নেই।  

আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মূল চক্রান্তকারী জিয়াউর রহমান। আমার দাবি বঙ্গবন্ধুর হত্যার চক্রান্তকারি হিসেবে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের মাধ্যমে বিএনপি ও জামায়াতের চক্রান্তকারীদের মুখোশ উন্মোচিত করা হোক। তাহলে জাতির মধ্যে যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে তা দূর হবে।
টিআইবি’র রিপোর্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই রিপোর্টে বলা হয়েছে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। ২৬ মিনিটে বিল পাস হয়েছে। সমস্যাটা কোথায়?  দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে যদি কোনো বিল উত্থাপন হয়, সেটা সবার সম্মিলিতভাবে দীর্ঘ আলোচনার বিষয় যদি না থাকে, সবাই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতেই পারে।  

‘আধা ঘণ্টা আলোচনা করেও যদি সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়, তাহলে কিসের সমস্যা? আপনি বলতে পারেন- এই বিল পাস হওয়ার কারণে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হয়েছে কি-না?’
  
আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ কমিটির সভাপতি খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী রীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, কবি নির্মলেন্দু গুণ, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯ 
এসকে/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।