ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ার আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৯
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ার আহ্বান আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথিরা/ছবি- জি এম মুজিবুর

ঢাকা: গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে গণসংহতি আন্দোলনের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায়।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মিলনায়তনে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতান্ত্রিক শক্তির করণীয়’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।  

আলোচনা সভার শুরুতেই সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতান্ত্রিক বাম জোটের সমন্বয়কারী মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া, সিপিবির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল্লাহ আল কাফী রতন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আহমেদ কামাল প্রমুখ।  

মাহমুদুর রহমান মান্না তার বক্তব্যে বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা দুই বছরেও কোনো সমাধান করা যায়নি। এটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। চীন বা আমেরিকার কাছে ধরনা দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না। আসামে জনগণনার ফল প্রকাশ হবে। ৪০ লাখ মানুষ নাগরিকত্ব হারাতে পারেন। তাদের চাপ কিভাবে সামলাবেন?  

বর্তমান রাজনৈতিক দুরাবস্থার কথা উল্লেখ করে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, বর্তমান সময়ে সাধারণ মানুষ দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। থাকা-খাওয়া যোগাড় করতেই তাদের ঘুম নেই। আবার যারা টাকা পাচার করেছে সেই টাকা কোথায় রাখবে সেই চিন্তায় তাদেরও ঘুম নেই। জবাবদিহিতাহীন দেশেই এমন হয়। শিক্ষিত, আত্মমর্যদাসম্পন্ন মানুষের পক্ষে রাজনীতিতে আসা কঠিন হয়ে গেছে। বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন সংগ্রামে গণসংহতি আন্দোলনের পাশে থাকবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অধ্যাপক আহমেদ কামাল তার বক্তব্যে বলেন, যারা সমাজ পরিবর্তন চায়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, স্বৈরতন্ত্রের বিদায় করতে চায়, তাদের সবাইকে একত্রিত হয় নিজেদের লক্ষ্য ঠিক করে কাজ করতে হবে।  

বামপন্থি ও গণতান্ত্রিক দলের প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বাংলাদেশের পরাজয় ঘটেছে। পুলিশ ও আমলারা জনগণের কর্মচারী। কিন্তু এখন সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে তারা কাজ করছেন। এই অবস্থায় আমরা কী করতে চাই? সেটি নির্দিষ্ট করে যদি একসঙ্গে রাজপথে নামি তাহলে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।  

সভাপতির বক্তব্যে লনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি জনগণের বৃহত্তর সংগ্রাম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে সাধ্যমত ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৯ 
আরকেআর/জেডএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।