ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘পর্দা’র কাছে ‘বালিশ’ হেরে গেছে: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৯
‘পর্দা’র কাছে ‘বালিশ’ হেরে গেছে: ফখরুল দোয়া-মাহফিলে বক্তব্য দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ (ফেমিক) হাসপাতালের পর্দা কেনায় দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গে টেনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বালিশ কোথায়? বালিশতো হেরে গেছে পর্দার কাছে! এ হচ্ছে অবস্থা! চতুর্দিকে শুধু লুট।

সাবেক অর্থমন্ত্রী ও বিএনপির সাবেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইফুর রহমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে একথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, সাইফুর রহমান সাহেব দেশপ্রেমিক ছিলেন।

দেশকে ভালোবাসতেন। তার মতো রাজনীতিকরা নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য বা দলের লোকদের লাভবান করার জন্য দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দেননি। এটা খুব বড় কথা, তারা দেশ বিক্রি করে দেননি। আজকে সাইফুর রহমান সাহেবরা থাকলে ওই রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হতো না। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট এভাবে তৈরি হতো না। ফরিদপুরে ৩৭ লাখ টাকায় একটা পর্দা! বালিশ কোথায়, বালিশতো হেরে গেছে। চতুর্দিকে শুধু লুট।

সাইফুর রহমানের সময় দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি সবচেয়ে ভালো ছিল উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাইফুর রহমান সাহেব ব্যাংক দেননি। তখন কয়েকটি প্রাইভেট ব্যাংক ছিল। খুব চাপ ছিল, চতুর্দিক থেকে চাপ ছিল যে নতুন ব্যাংক দিতে হবে। এ নিয়ে আমাদের অনেকে বিক্ষুব্ধ ছিলেন। কিন্তু তিনি বলেছিলেন, আমিতো দেশটাকে একটা লুটেরা অর্থনীতিতে পরিণত করতে পারি না। আজকে প্রমাণিত হয়েছে, এই যে ব্যাঙের ছাতার মতো ব্যাংক দিয়েছে, সব মুখ থুবড়ে পড়ছে। আজকের পত্রিকায় আছে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, হলমার্ককে আবার সুযোগ দেওয়া হবে। অর্থাৎ লুটেরা অর্থনীতিকে আবার লুটেরাদের হাতে দেওয়া হবে। এটাই এদের মূল চরিত্র। এদের চরিত্রই হচ্ছে লুটেরা। চারদিকে সব লুট করছে। এমনভাবে লুট করছে, দেশটা একটা ফোকলা দেশে পরিণত হয়েছে।  

আওয়ামী লীগের সরকার দুর্ভিক্ষ নিয়ে এসেছিল উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, তখন খাদ্য উৎপাদন একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছিল। মানুষের অভাব এমন পর্যায়ে গিয়েছিল ঠিকমতো কাপড়ও পড়তে পারতো না। আমাদের মনে আছে কুড়িগ্রামের বাসন্তী লজ্জা নিবারণের জন্য এক টুকরা কাপড় পায়নি। সেই অর্থনীতিকে পাল্টে দিয়ে আজকে যে সম্ভাবনাময় অর্থনীতি তৈরি হয়েছে, তার ভিত্তি সাইফুর রহমানই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি না-কি অর্থনীতির আইডল। এটা আদর্শ, মডেল! কিন্তু অতিদ্রুত বিশ্বের কাছে প্রমাণিত হয়ে গেছে, এটা একটা ফাঁপা অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। অথচ সাইফুর রহমান, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়ার সময় এ অর্থনীতি ছিল দৃঢ় অর্থনীতি। তখন ইমার্জিং টাইগার বলা হয়েছিল।

এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সাইফুর রহমানের ছেলে নাসের রহমান প্রমুখ। স্মরণসভা পরিচালনা করেন বিএনপি নেতা কাইয়ুম চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৯
এমএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।