ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খাওয়াতে পারলে সিম দিতে পারবেন না কেন: মান্না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯
খাওয়াতে পারলে সিম দিতে পারবেন না কেন: মান্না বক্তব্য রাখছেন মাহমুদুর রহমান মান্না। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ১০-১১ লাখ (রোহিঙ্গা) এসেছে। এরপরে আবারও আসবে নাকি? ওখানে (আসাম) বলছে, যাদের নাম লিস্টে নেই, তাদের দেশ থেকে বের করবো। বের করলে ওরা আসবে কোথায়? কীভাবে ঠেকাবেন? আপনাদের তো সবাই বন্ধু। বন্ধু মনে করে আমরা যেগুলো রাখতে পারি না, বন্ধু তুমি রাখো! রোহিঙ্গাও আসবে, অসমিরাও আসবে। তখন আবার বক্তৃতা করবেন, ১৭ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারি, আর ১৭ লাখ মানুষকে খাওয়াতে পারবো না? 

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যর নতুন ওয়েবসাইটের প্রদর্শনী ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারের সমালোচনা করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, তাহলে এখন এনআইডি বন্ধ করে দেন কেন, খাওয়াতেই যদি পারেন, তাহলে সিম দিতে পারবেন না কেন? এসব বড় কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে লাভ নেই।

আমরা বিপদে পড়েছি, গুরুতর বিপদে বাংলাদেশ। এটাই হচ্ছে এখন সবচেয়ে বড় সত্যি কথা।

ভারতকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই, করুণার আলো নেই। বাংলাদেশ অচল আজ তাদের পরামর্শ ছাড়া। বাংলাদেশ অচল মানে কী? ওই যে, কতগুলো রোহিঙ্গা ঢুকেছে। বের করতে পারবেন? এরা কী করছে এটা নিয়ে, কিছু বলেছে? এটা তো জাতিসংঘের বিষয়। ওনারা বললেন না, আমরা দু’টো দেশ মিলে ঠিক করবো। দুই দেশ মিলে ঠিক করবে মানে কী? ছয় মাস পর পর লিস্ট করবে, সে লিস্ট মিয়ানমারের কাছে পাঠাবে, মিয়ানমার তার মধ্যে থেকে যেগুলো সঠিক মনে করবে, সেগুলোকে নেবে, বাকিগুলো নেবে না। ওনারা বললেন, প্রতিবেশী দেশ আছে। তারা এ ব্যাপারে নেগোশিয়েট করবে। তারা নিষ্পত্তি করবে, স্বার্থ দেখবে আমাদের। তারা ওদেরও বন্ধু, আমাদেরও বন্ধু। দেখা যাক, কী নিষ্পত্তি হবে।

মান্না বলেন, যিনি ওদেরও বন্ধু, আমাদেরও বন্ধু, তিনি আসলে শেষপর্যন্ত কার বন্ধু? উনি হয়তো উভয় দেশকে খুশি রাখার জন্যে থাপথুপ দিয়ে বন্ধ করে রাখবেন, যাতে কোনো কিছু না হয়। সরকার এখন রোহিঙ্গাদের দমন করার চেষ্টা করছে। সিম বন্ধ করে দিয়েছে। তারা এনআইডি পেয়ে যাচ্ছে, সিম বন্ধ করবেন কীভাবে?  

নাগরিক ঐক্যের নেতা বলেন, শুধু বিরোধীদলকে দমন করা ছাড়া এ সরকার মশাও মারতে পারে না। এনআইডিও বন্ধ করতে পারে না। সিমও বন্ধ করতে পারে না। পাসপোর্টও পাচ্ছে। এনআইডি থাকলে পাসপোর্ট পাবে না কেন?

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন বালিশের দাম বেশি না পর্দার দাম বেশি? লাখ টাকা দিয়ে এখন পর্দা বানায়, একথা আমরা জীবনেও শুনিনি। রূপপুর প্রকাশিত হয়েছে, তখন ভেতরে ভেতরে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ তো ছিল। কিন্তু, কোনো ব্যবস্থা তো নেননি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কার সিটে কে থাকে, কার রুম কে দখল করে? পুরো শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটা নৈরাজ্যের জায়গা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাল ভর্তির বিষয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, বিনা পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। অনেকে ডাকসুর নেতাও হয়েছে। ভর্তি বাতিল করে দেন। কিন্তু, ভিসির কি এই ক্ষমতা আছে? আমাদের সময়ে জাল মার্কসিট দিয়ে ভর্তির অভিযোগ এসেছিল। তখন তাদের ভর্তি বাতিল করা হয়েছিল।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা এসএম আকরাম, সমন্বয়ক শহিদুল্লাহ কায়সার, দলের নেতা মমিনুল ইসলাম, সোহরাব হোসেন, মঞ্জুর কাদের, জাহিদ হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯
এমএইচ/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।