ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ছাত্রলীগে কিছু অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
ছাত্রলীগে কিছু অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে: তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন তথ্যমন্ত্রী। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ছাত্রলীগে কিছু অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা নানা সময় নানা ঘটনা ঘটায়। সেগুলোর দায় ছাত্রলীগের ওপর এসে পড়ে। এ বিষয়ে প্রকাশিত সব খবর সঠিক নয়। 

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।  

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গয়েশ্বর বাবু (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়) বলেছেন, মানববন্ধন নয়, দানববন্ধন করতে হবে।

দানববন্ধন বলে তিনি কোনো অশুভ শক্তির ইঙ্গিত দিচ্ছেন। কারণ, বিএনপি অতীতে বিভিন্ন সময় দানবীয় রূপ ধারণ করেছে। ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে, এমনকি ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও তাদের কার্যালয়ের সামনে বিএনপি কর্মীদের দানবীয় রূপ দেখেছি। তারা মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে, সরকারি সম্পত্তি পুড়িয়েছে, পবিত্র কোরআন শরিফ পুড়িয়েছে, তারা শত শত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। দানববন্ধব করতে হবে- গয়েশ্বর বাবু এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আবারও সেই একই রূপ ধারণের ইঙ্গিত দিচ্ছেন কি না, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ অতীতের মতো তাদের (বিএনপি) আর দানবীয় রূপ ধারণ করতে দেবে না। কারণ, বিএনপি এসব অপকর্ম করেছিল বিধায় মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা ২০১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। সুতরাং, একই কাজ তারা আর করতে পারবে না। আমি তাদের অনুরোধ জানাবো, ভবিষ্যতে দানবীয় রূপ ধারণের চিন্তা না করে বরং নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাজনীতির পথে হাঁটার। সেটি তাদের ও জনগণের জন্য শুভ হবে।

ছাত্রলীগের কমিটি থাকছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই ছাত্রলীগের কমিটির বিষয়টি দেখাশোনা করেন। তিনিই ছাত্রলীগের কমিটি থাকবে কি না এ ব্যাপারে  সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে, ছাত্রলীগের ব্যাপারে ঢালাওভাবে যেসব অভিযোগ করা হয়, সেসব সত্য নয়। ছাত্রলীগে কিছু অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। তারা নানা সময় নানা ঘটনা ঘটায়। সেগুলোর দায় ছাত্রলীগের ওপর এসে পড়ে। সবসময় যে খবর প্রচারিত হয়, তার সবগুলো সঠিক নয়।  

বিএনপি বলছে আওয়ামী লীগ একটা মিথ্যাচারের কোম্পানি- এ বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি হচ্ছে লিমিটেড কোম্পানি আর সেখানকার নেতারা হচ্ছেন ভাড়াটিয়া রাজনীতিবিদ। বিএনপি রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নেয় না। তারা একে ‘লস অ্যান্ড প্রফিট’ (লাভ-লোকসান) হিসেবে দেখে। লিমিটেড কোম্পানির যেমন লস অ্যান্ড প্রফিটের ব্যালেন্স শিট থাকে, তাদেরও তেমন। ফুটবল খেলায় যেমন খেলোয়াড়রা ভাড়ায় খাটেন, তেমনি বিএনপির বেশিরভাগ নেতা হচ্ছে ভাড়ায় খাটা রাজনীতিবিদ। তাদের অতীত দেখলে দেখা যায়, অনেক নেতাই অন্য দল করতেন। অন্য দল থেকেই সেখানে গেছেন, অর্থাৎ ভাড়াখাটা রাজনীতিবিদ। আর এটা (বিএনপি) একটা লিমিটেড কোম্পানি।  

মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ চায় বিএনপি একটি শক্তিশালী দল হিসেবে টিকে থাক। আমরা চাই, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য শক্তিশালী বিরোধীদল থাক। বিএনপি ও জাতীয় পার্টি শক্তিশালী দল হিসেবে থাক, আমরা সেটিই চাই। কিন্তু, বিএনপিকে তো অন্য কারও ধ্বংস করার দরকার নেই। বিএনপি নিজেই বিভিন্ন সময় আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেমন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত ছিল আত্মহননের। ২০১৮ সালের নির্বাচনে গেলো না, সেটাও আত্মহননের সিদ্ধান্ত। সুতরাং, বিএনপি নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস করেছে। অন্য কারও প্রয়োজন নেই।

বিএনপি কীভাবে নিজেদের ধ্বংস করছে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি বড় সমাবেশ করুক, আমরা সেটাই চাই। কিন্তু, তারা ধারাবাহিকভাবে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে কারণে সংসদে তাদের আসন হাতে গোনা। বিএনপির আসন তো আরও বেশি হওয়ার কথা ছিল।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯ 
জিসিজি/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।