ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আস্থা ধরে রাখতে নেতাকর্মীদের দায়িত্বশীল হওয়ার নির্দেশ

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
আস্থা ধরে রাখতে নেতাকর্মীদের দায়িত্বশীল হওয়ার নির্দেশ

ঢাকা: সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ধরে রাখতে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন। সভায় দলের কার্যনির্বাহী সংসদের প্রায় সব সদস্যই উপস্থিত ছিলেন।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের ওপর মানুষের বিশ্বাস আস্থা ধরে রাখতে হবে। মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করতে হবে। আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত যেসব নেতাকর্মী আছে তাদের প্রত্যেককে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।  

এক্ষেত্রে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার কথাও বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।  

তিনি বলেন, আমাদের প্রতি মানুষের যে আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। আমরা মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। মানুষ জানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নতি হয় এবং হবে। এই বিশ্বাস ও আস্থা ধরে রাখতে হবে। মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করতে হবে। আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত যেসব নেতাকর্মী রয়েছেন- তাদের প্রতিটি নেতাকর্মীকে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।  

‘আমরা কিছু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি, এর মধ্যে ভিশন-২০২১ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলবো। আমি বিশ্বাস করি এত সময় লাগবে না, এর আগেই আমরা তা করতে পারবো। ২১০০ সালের জন্য আমরা ডেল্টা প্ল্যান দিয়েছি। ’

পড়ুন>>বৈঠক শুরু, শোভন-রাব্বানীর ভবিষ্যত জানতে সবার নজর গণভবনে
 
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, এক্ষেত্রে আমাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। এই কথাটা আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে মনে রাখতে হবে এবং সেভাবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

‘আওয়ামী লীগ দায়িত্বশীল দল হিসেবে যখনই ক্ষমতায় এসেছে জনগণের জন্য কাজ করেছে। আমাদের মনে রাখতে হবে এটি জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন। তাই এই সংগঠনের প্রত্যেককে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে হবে। সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সে কথা মাথায় রেখে সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সুসংগঠিত করে গড়ে তুলতে হবে। ’

তিনি বলেন, নিয়মিতভাবে যাতে আমাদের জাতীয় সম্মেলন হয় সেজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের উপ-কমিটিগুলো, তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে যাবে বলে আশা করছি। বাংলাদেশেরে অগ্রযাত্রা আর কেউ থামাতে পারবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। অন্যরা উড়ে এসে জুড়ে বসে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতায় বসেছে, তাদের দায়বদ্ধতা নেই। তারা আছে নিজেদের ভাগ্য গড়তে। যখন ক্ষমতায় ছিল তারা তাই করে গেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, একটা কথা স্পষ্ট, দেশে যে দল সংগ্রাম করে, যে দল ত্যাগ স্বীকার করে, মানুষের কল্যাণে কাজ করে, তাদের আন্দোলনের ফসল হিসেবে স্বাধীনতা আসে। সে দল ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নতি হয়। আর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আসা দল দেশের উন্নয়ন, তাদের লক্ষ্য নয়, অবৈধভাবে দখল করা ক্ষমতাটাকে নিশ্চিত করতেই তারা ব্যস্ত থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯/আপডেট: ২০৫৪ ঘণ্টা
এমইউএম/এসকে/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।