দুই সিটির মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) কাউন্সিলর পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইন অনুযায়ী শুধু মাত্র দলীয় প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে রাজনৈতিক দল মনোনয়ন দিয়েছে। আর কাউন্সিরর পদগুলোতে নির্বাচন হয়েছে নির্দলীয়ভাবে। তবে দলীয় প্রতীক নিয়ে কাউন্সিলর প্রার্থীরা সিটি করপোরেশনে নির্বাচন না করলেও রাজনৈতিক দলগুলো প্রত্যেক ওয়ার্ডেই নিজ নিজ দলের প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে এক জন করে প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিলো। এর বাইরেও অনেক ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা উত্তরের ৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ৫১টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন ৪৩টিতে। এছাড়া এ সিটির আটটি ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।
এ সিটিতে মাত্র দু’টি সাধারণ ওয়ার্ডে বিএনপির সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। একটি ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী। এছাড়া উত্তরের ১৮টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬টিতে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আর দু’টিতে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। এদিকে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন মাত্র দু’টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে।
ডিএসসিসির মোট সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫টি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত ও বিদ্রোহী প্রার্থী মিলিয়ে ৬৩টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ৫৫টি এবং বিদ্রোহী প্রার্থী আটটি। এ সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ডে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন আটটি ওয়ার্ডে। বাকি চারটির মধ্যে একটিতে জাতীয় পার্টি (জেপি) ও তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। ডিএসসিসির সংরক্ষিত ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন ২০টিতে। এখানে বিএনপির তিনজন ও স্বতন্ত্র দু’জন নির্বাচিত হয়েছেন।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন এবং যারা বিজয়ী হয়েছেন তাদের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বাংলানিউজকে বলেন, দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তাদের আমরা মনে রাখবো। ভবিষ্যতে তাদের সেইভাবে দেখা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
এসকে/আরআইএস/