ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় যিনি দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। পরে স্ত্রীসহ তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে দু’টি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এর মধ্যে স্ত্রীসহ তিনি ভারতে যান। গত ২৭ জানুয়ারি তার পক্ষে জনৈক আহসান মোর্শেদ নিদল হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়া দেশে ফেরত এসে আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য নির্দেশনা চেয়েছেন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এমএ আজিজ খান। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
পরে একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় গত বছরের ২৯ অক্টোবর কাজী আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রী সুমি রহমানের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা করে দুদক। কাজী আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১২ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ৯২০ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার মামলা করেন।
‘একইদিন তার স্ত্রী সুমি রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১ কোটি টাকার ওপরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলা দু’টি তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে। ’
আমিন উদ্দিন মানিক আরও জানান, রিট আবেদনে বলা হয়েছে- মেডিক্যাল ভিসায় কাজী আনিসুর রহমান গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ভারত যান এবং তার স্ত্রী সুমী রহমান কলকাতা অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখন তারা কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়া দেশে ফিরে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে চান। এজন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। আদালত আজ সে আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান আনিসকে ১১ অক্টোবর দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০
ইএস/এএ