ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করবোই: মির্জা ফখরুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২০
আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করবোই: মির্জা ফখরুল সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই, প্রশাসনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বিশ্বাসযোগ্য নয়, এরপরও নির্বাচনে এসেছি, অনেক দাবি জানিয়েছি। এবার আমাদের একটাই দাবি আমাদের প্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করবোই।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দুই বছর কারাবন্দি রাখার প্রতিবাদে ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, বিশ্বে ইভিএম থেকে সরে যাচ্ছে।

ইভিএম বিশ্বাসযোগ্য না। তারপরও আপনারা যন্ত্র ব্যবহার করে সাত শতাংশের বেশি ভোটার কেন্দ্রে আনতে পারলেন না। যেহেতু ৫০ শতাংশ ভোটার ছিল না তাই পুনরায় নিরপেক্ষ ইসির অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সমাবেশে মির্জা ফখরুল খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আগামী শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ঢাকার দুই মেয়র জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি তারা মেশিনের মেয়র। সরকার কৌশলে ইভিএম ব্যবহার করেও সাত শতাংশের বেশি ভোটার কেন্দ্রে আনতে পারেনি। জনগণ ইভিএম, নির্বাচন কমিশনার (ইসি) এবং সরকারের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার জনগণকে ভয় পায়, খালেদা জিয়াকে ভয় পায়, এজন্য গায়ের জোরে তাকে আটক রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়া একদিনের মধ্যে জামিনে যেতে পারতেন কিন্তু সরকার তাকে আটক করে রেখেছে। তাকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না।

সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, সরকার জনগণের ভয়ে সভা-সমাবেশ করতে দেয় না, সুষ্ঠু নির্বাচন দেয় না। কারণ তারা অন্যায় করছে, দুর্নীতি করছে। তারা জনগণকে ভয় পায়।  

ঢাকা দুই সিটির জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন ও তাবিথ আওয়াল উল্লেখ করে মওদুদ বলেন, মেশিনে মেয়র হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। তারা সত্যিকারের মেয়র না। সরকারের উচিত এ নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।

মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ তিন বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সম্মান দিচ্ছে না। দুই বছর তাকে আটকে রাখা হয়েছে। কামারের ঘরে পুথি পাঠে লাভ নেই, শুনতে পাবে না, ঢোল পিটাতে হবে।  

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ড. মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী,  ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, মো. শাহজাহান, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, মিজানুর রহমান মিনু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২০
ইএআর/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।