তিনি বলেন, খালেদা জিয়া একটি মিথ্যা-ভিত্তিহীন মামলায় কারাভোগ করছেন। বার বার আমরা আদালতের কাছে তার (খালেদা জিয়ার) জামিন চাইলেও তা পাচ্ছি না।
নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মস্তফা কামরুজ্জামান কামালের দায়ের করা একটি মানহানি মামলায় জামিন নিতে এসে (৯ ফেব্রুয়ারি) রোববার দুপুরে নড়াইল আদালত চত্বরে একথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া এবং দেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হলে রাজপথে নামা ছাড়া কোনো উপায় নেই। রাজ পথের আন্দোলনের মাধ্যমেই দেশের গণতন্ত্র এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী জর্জ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক যুবনেতা খন্দকার ফসিয়ার রহমান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফরিদ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাহমুদুল হাসান সানি প্রমুখ।
এর আগে সকালে রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির একটি মামলায় জামিন নিতে নড়াইলে আসেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নীলুফার শিরিন ওই মামলায় জামিন দেন তাকে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাবিস্টার মওদুদ আহমদ। ওই অনুষ্ঠানে ‘দৈনিক আমার দেশের’ ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এবং তার পরিবার সম্পর্কে আপত্তিকর ও মানহানিকর বক্তব্য দেন। এসময় বিএনপি নেতা ব্যাবিস্টার মওদুদ আহমদ এবং বাংলাদেশ ডেমেক্রেটিক কাউন্সিল ঢাকার সভাপতি এম এ হালিম ওই বক্তব্য সমর্থন জানিয়ে হাততালি দেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বাংলাদেশ ডেমেক্রেটিক কাউন্সিল ঢাকার সভাপতি এম এ হালিম এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করেন নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মস্তফা কামরুজ্জামান কামাল।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে কয়েকশত বিএনপির নেতামকর্মী কোর্ট চত্বরে উপস্থিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০
এসএইচ