ঢাকা: স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ঢালাওভাবে মনোনয়ন ফরম বিক্রিতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ জন্য দলের গঠনতন্ত্র কড়াকড়িভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ফরম বিক্রির ক্ষেত্রে এ বিষয়টি অনুসরণ করা হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায় থেকে আসা তালিকায় যাদের নাম আছে তাদেরই মনোনয়ন ফরম দেওয়া হচ্ছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে, চলবে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
সম্প্রতি পাঁচটি উপ-নির্বাচনে গণহারে দলের নেতাকর্মীরা মনোনয়ন ফরম কেনেন। বিষয়টি দলের শীর্ষ পর্যায়ের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় এ কড়াকড়ির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহ যাতে গণহারে না হয় সে জন্য দলের গঠনতন্ত্রের বাধ্যবাধকতা অনুসরণ করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফরম কিনতে জেলা উপজেলা এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত রেজুলেশনে প্রার্থীর নাম থাকতে হচ্ছে। রেজুলেশনে নাম ছাড়া মননয়ন ফরম বিক্রি করা হচ্ছে না। অর্থাৎ জেলা উপজেলা এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ থেকে যেসব মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নামের তালিকা পাঠানো হবে তারাই কেবল মনোনয়ন ফরম কিনতে পারবেন।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে অন্তত তিন জনের নামের তালিকা কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের কাছে পাঠানো যাবে। উপজেলা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এটা অনুসরণ করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ৫টি আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থিতা করতে আওয়ামী লীগের ১৪১ জন আগ্রহী প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ মনোনয়ন প্রত্যাশী ঢাকা-১৮ আসনে ৫৬ জন ফরম কিনেছেন। এটা দলের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতিতে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। এ কারণেই দলীয় ফরম বিক্রিতে গঠনতন্ত্রের নির্দেশনা কড়াকড়িভাবে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, কারা ফরম সংগ্রহ করতে পারবে এটা দলের গঠনতন্ত্রে উল্লেখ করা আছে। গঠনতন্ত্রে যেটা নির্দেশ করা আছে সে অনুযায়ী ফরম দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
এসকে/এমজেএফ