ঢাকা: সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সুপরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে দাবি করে দলের স্থায়ী কমিটির সভায় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি তুলে ধরেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সভায় যেসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে তা জানানোর জন্য এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের আগের রাতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা দখলকারী সরকার যখন করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। যখন সরকারের চরম উদাসীনতায় লক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকা হুমকির সম্মুখীন হয়েছে, হাজারও মানুষ ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য প্রাণ হারাচ্ছে, যখন সরকারি দলের লুটেরাদের দুর্নীতির কারণে অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে, রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ ও দুর্নীতির কবলে পড়ে দুঃশাসন সৃষ্টি করেছে, জনগণের আস্থা যখন শূন্যের কোঠায় তখন জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত মিথ্যাচার এক গভীর ষড়যন্ত্র।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈচারারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ায় তার যে অবদান সেটা জাতি সবসময় শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সঙ্গে মনে রেখেছে। তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে তাকে পরাজিত করা যাবে না।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির সভায় পরিকল্পিত মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য দলের অংগ সংগঠন সমূহ ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, জাসাস, মুক্তিযোদ্ধা দল, সকল জেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন সমূহ কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী কর্মসূচি পালন করবে। একই সঙ্গে সভা, সেমিনার, ওযেবিনার, ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সভায় বিএনপির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্বহীন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। বিএনপি কোনো ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করে না। জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থনে বিশ্বাসী বিএনপি।
তিনি বলেন, পাবনা-৪ এর উপ-নির্বাচনে আবার প্রমাণ করেছে যে, এই নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনার যোগ্য নয়। তারা সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। এই নির্বাচনকে বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
এমএইচ/এমজেএফ