সাতক্ষীরা: আওয়ামী লীগ নেতা শরবত আলী মোল্যা হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহনেওয়াজ ডালিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর খিলখেতের একটি ফ্ল্যাট থেকে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।
সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন আলম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আশাশুনির গদাইপুর গ্রামের শরবত হত্যা মামলার আসামি শাহনেওয়াজ ডালিমকে গ্রেফতার করে ঢাকা থেকে সাতক্ষীরায় আনা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ এপ্রিল আশাশুনির গদাইপুর বিলে মঞ্জুরুল মোল্যার চিংড়ি ঘেরের দুই কর্মচারীকে বেঁধে রেখে মাছ লুটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে ক্ষুব্ধ হন গদাইপুর গ্রামের মোজাহার সরদারের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম। এরই জের ধরে ডালিমের দুই ভাই ও সমর্থকরা ৯ এপ্রিল রাতে শরবত ও মঞ্জুরুল মোল্যার চিংড়ি ঘেরে লুটপাট চালান। ১০ এপ্রিল সকালে চেয়ারম্যানের ভাই আহসান হাবিব টগর গদাইপুর সেটে মাছ বিক্রি করতে গেলে শরবত মোল্যার সঙ্গে বচসা বাঁধে। এ নিয়ে হাতাহাতিও হয় তাদের। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান তার ভাই টগরকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে এমন প্রচার দিয়ে তার পক্ষের লোকজনকে সংগঠিত করে শরবত মোল্যাকে তার বাড়ির পাশের পুরনো কবরস্থান সংলগ্ন এলাকায় কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেন। এ সময় শরবতকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে তার স্ত্রী শরিফা খাতুন ও প্রতিবেশী আরিফা খাতুন, তুয়ারডাঙার সুবিমল বিশ্বাসসহ কয়েকজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। ভাঙচুর করা হয় পাঁচটি বাড়ি।
এরপর ১১ এপ্রিল রাত ১টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শরবত। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় লোকজন ডালিম ও তার কয়েকজন সহযোগীর বাড়ি ভাঙচুর করেন।
১১ এপ্রিল রাতেই শরবতের ছেলে সবজু ডালিমকে প্রধান আসামি করে ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা করেন।
এর দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ মাস পর চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমকে ঢাকার খিলখেত থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলো পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
এসআই